জামালপুর প্রতিনিধি : শুধু জামালপুর নয়, দেশের কোথাও সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুন্ন হলে প্রয়োজনে আমরা ভোট বর্জন করবো। আমাদের অধিকার রক্ষায় ৭ দফাসহ সংখ্যালঘু পরিবারদের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকান্ড পরিচালিত হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো। জামালপুরের দয়াময়ী মন্দিরসহ দেশের সকল ধর্মীয় স্থাপনা, দেবাত্তর সম্পত্তি রক্ষায় আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

জামালপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক দয়াময়ী ও রাধামোহন জিউ মন্দিরের ভূমি ও স্থাপনা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. রানাদাশ গুপ্ত এসব কথা বলেন।

আজ শুক্রবার শহরের দয়াময়ী মন্দিরে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ও জামালপুরের সকল মন্দির পরিচালনা কমিটি আয়োজিত এই প্রতিবাদ সভায় তিনি আরও বলেন, জামালপুরে কালচারাল ভিলেজ গড়ে তোলার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কালচারাল ভিলেজ গড়ে তুলতে কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে না, এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে সুস্পষ্ট বলা আছে। প্রায় সোয়া তিনশ বছরের পুরনো ও স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন দয়াময়ী মন্দিরের ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে দেশসহ সারা বিশ্বে আমরা আন্দোলন ছড়িয়ে দেবো।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পুজা উদযাপন কমিটি জামালপুর জেলার সভাপতি বীরেন্দ্র চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণিন্দ্র চন্দ্র নাথ, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী, শেরপুর জেলার সভাপতি দেবাশিষ ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলয় চাকি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, দয়াময়ী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর রায়, মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, কবি ধ্রুবজ্যোতি ঘোষ মুকুল প্রমুখ।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০১৮)