নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের চারজন অর্থাভাবে সুচিকিৎসা করাতে পারছেন না। উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর মো. লাল্টু মিয়ার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের চারজনই বিরল রোগে আক্রান্ত। স্ত্রী মোছা. তানহা বেগম (৩৫) আর্সেনিকে আক্রান্ত, বড় ছেলে ছিয়াদ (৮) চর্ম রোগে আক্রান্ত, ছোট ছেলে ছিয়াম (৩) চর্ম রোগে আক্রান্ত ও এক মাত্র মেয়ে মরিয়ম (৬) সে বিরল রোগে আক্রান্ত। 

পরিবারের গৃহিনী তানহা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, আমি প্রথমে আর্সেনিক রোগে আক্রান্ত হই। পরে বড় ছেলে ছিয়াদের জন্মের ৬ মাস বয়স থেকে তার হাত ও পায়ে চুলকানি শুরু হয়ে তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মেয়ে মরিয়ম জন্মের ছয় মাস বয়স থেকে হঠাৎ তার শরীর থেকে মরা চামড়া উঠতে থাকে। ধীরে ধীরে সেটা আরো বড় আকার ধারণ করে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করছি ছোট ছেলে ছিয়ামের শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি শুরু হয়েছে। এতে করে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে আমার আর্সেনিক রোগ ভাল হলেও আমার সন্তানদের রোগের কোন সুফল হয়নি। ঢাকার পিজি হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। বর্তমানে রোগাক্রান্ত সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার সন্তানদের জীবন বাঁচাতে দেশের বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। মোছা. তানহা বেগম বিকাশ মোবাইল ০১৭৪৭-৪০১৪৬৭।

(আরএসআর/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০১৮)