সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি সাব-রেজিষ্টার অফিসের সামনে থেকে দৈনিক ভোরের কাগজের বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি, ৭১ বাংলা টিভি ও কলকাতা টিভির জেলা প্রতিনিধি খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর নিকট থেকে বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে সাইড ব্যাগে রাখা ক্যামেরা ও মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এমন ঘটনার সাথে একই উপজেলার জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন ও অনলাইন সিরাজগঞ্জ কন্ঠের প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম ও তার সহযোগী রেজাউল প্রত্যক্ষ ভাবে জরিত বলে খন্দকার মোহাম্মাদ আলী ও স্থানীয় লোকজন জানান।

এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম ও তামাই কুঠিপাড়া নিবাসী রেজাউল উভয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করলে সেটা না দেয়ায় খন্দকার মোহাম্মাদ আলীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ,ক্যামেরা ও মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় বলে বেলকুচি চালার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুল মতিন ও মহির উদ্দিন সহ অনেকে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে খন্দকার মোহাম্মাদ আলী মুঠোফোনে বলেন,পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বেলকুচি সাব-রেজিস্টার অফিসে কাজ শেষ করে বের হয়ে আসার সময় জহুরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাত হলে স্থানীয় চা স্টলে বসে চা খাই। চা খাওয়া অবস্থায় জহুরুল ইসলাম তার সহযোগী কথিত সাংবাদিক রেজাউলকে ফোন দিয়ে ডেকে আনে।

তাঁরপর আমায় একটু ফাঁকে নিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করলে আমি অস্বীকৃতি জানালে উভয় মিলে আমার সাথে অশোভন আচারণ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেখানোর এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন সমবেত হওয়ার আগেই আমার সাথে থাকা সাইড ব্যাগে রাখা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিডিও ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

আমি পরিস্থিতি বুঝতে না পেরে ঘটনার মূল রহস্য জানার জন্য বিভিন্ন যায়গায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তার পর বুঝতে পারলাম যে, রাজাপুর ইউনিয়নের (ডরপ) এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবুল মুনসুর ফকিরের বিরুদ্ধে মসজিদ ও ভিক্ষুকের নামে প্রকল্পের টাকা আত্নসাৎ বিষয়ে ৭১ বাংলা টিভিতে প্রকাশিত হওয়ার ফলে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা প্রমানিত পেয়ে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।

সেই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পূর্বে মুনসুর ফকিরের সহায়তাকারী সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম ও রেজাউল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টাসহ বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সঠিক তথ্য আমার হাতে থাকায় আমি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছিলাম। আর এই জন্য আমার উপর এমন আক্রমন করেছে বলে আমার ধারনা।

আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উদ্ধারের জন্য বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে বেলকুচি থানার অফিসার ইন চার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো.ওলিউজ্জামানকে মুঠোফোনে অবহিত করি। তারা আমার ক্যামেরা ও মটরসাইকেল ফিরিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলে ও তার ক্যামেরা ও মটরসাইকেল ফিরিয়ে দেয়া হয়নি বলে জানান, খন্দকার মোহান্মদ আলী। তবে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অপরদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে সাংবাদিক জহুরুল ইসলামকে বার বার মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

(এমএএম/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০১৮)