জে জাহেদ, চট্টগ্রাম : পকেটে মোবাইল প্রবেশ করানোর একটি ছবিকে অস্ত্র বলে ভূয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পাঠক নিউজ, জামাত বাঁশেরকেল্লা ও অন্যান্য পেইজের বিরুদ্ধে সামাজিক সাইটে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

স্পষ্ট একটি মোবাইল ফোন পকেটে ঢুকানোর ছবিকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ভাবে খবর প্রকাশের ঘটনায় অনেকেই এটি নিউজ পোর্টালগুলোর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন।

গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্রলীগসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

সমালোচনাকারীরা বলছেন, গণমাধ্যম জগতে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন পত্রিকা একটি স্বতন্ত্র সত্ত্বার নাম।

এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। কিন্তু এমন বিকৃত ছবি প্রকাশ করে পোর্টালগুলো গণমানুষের আস্থা ভেঙেছে।

তার প্রতিক্রিয়ায় ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্রী রিয়া বলেন, ‘আমি সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী নই। কিন্তু বুঝতে পারছি এ ব্যাপারে ন্যূনতম দায়িত্বশীল আচরণ দেখায়নি অনলাইন পত্রিকাটি।

ওদিনের অনুষ্ঠানের অনেকগুলো ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হলেও,উদ্দেশ্যপ্রনোণিত ভাবে একটি ছবি ইডিট করে সংবাদটি করা হয়েছে যা দুঃখজনক।

এতে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের কে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

যা দেখে সামাজিক সাইটে শত শত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এসব ভুয়া সংবাদ পরিবেশনকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শান্তি দাবি করেছেন।

জয়নাল নামক এক ছাত্র জানান, ‘সাংবাদিকতায় অনলাইন-ই সবচেয়ে নীতিবিরোধী কাজ করে থাকে। এটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দরকার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ। মনগড়া খবরে পাঠকে বিব্রত হয় বলে মন্তব্য করেন।

লুকোচুরি করে আসলে সমাজের পরিবর্তন আনা যায় না। সংবাদ মানে সত্যনির্ভর নিরপেক্ষ বলে জানান অনেকে।

খবরটি পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন বলেছেন, ‘জামাত শিবিরের বাঁশেরকেল্লা নামক পেইজের কাজ মূলত জনসাধারণকে বিভ্রান্তি করা"।

জসিম উদ্দিন নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এ ধরনের ইডিট করা ছবি দিয়ে খবর প্রচার করা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি, এটা তাহেরের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।

ফলে সামাজিকভাবে সে কিছুটা হেনাস্তার শিকার হবে। সকল পোর্টালের উচিত এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা দূরদর্শিতার পরিচয় দেয়া।’

(জেজে/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০১৮)