ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মধ্যরাতে শিবির সন্দেহে এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কর্মীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’র সামনে ক্রিকেট খেলার সময় ছাত্রলীগের ৫-৭ জন নেতাকর্মী ওই শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েক জন কর্মী রাত ১২টার দিকে প্রধান ফটকে ক্রিকেট খেলতে যান। তাদের সঙ্গে খেলতে আসেন প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী হোয়াইট হাউস মেসের দাওয়া এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সানাউল্লাহ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

এ সময় প্রধান ফটকে যায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী বিপুল খান, মোশাররফ হোসেন নীল, ফজলে রাব্বি এবং বিশাল। বিপুল খান খেলারত অবস্থায় থাকা সানাউল্লাহকে হঠাৎ করে শার্টের কলার চেপে ধরে বলে, ‘তুই শিবির করিস, এতো রাতে ক্যাম্পাসে কী?’ পরে বিপুলের সঙ্গে থাকা অন্যরাও ওই শিক্ষার্থীকে বেধরক পেটাতে থাকে। এতে ওই শিক্ষার্থী মাথায় আঘাত পায়।

এ সম্পর্কে বিপুল খান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের কাছে শিবিরের যে তালিকা আছে তাতে সানাউল্লাহর নাম আছে। আর এতো রাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছাড়া খেলতে আসার কথা নয়।’

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমি কখনও শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনও নাই। আমার মুখে দাঁড়ি আছে এটাই আমার দোষ।’

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সানাউল্লাহর মেছমেট বলেন, ‘আমাদের জানা মতো সানাউল্লাহ শিবিরের সাথে জড়িত নয়। আর আমাদের মেছে শিবিরের ছেলেদের ‘এলাও’ করা হয় না।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ছেলে শিবির করে এমনটি আমি জেনেছি। শিবিরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, ক্যাম্পাসে শিবিরের কোনো ঠাঁই নাই।’

(এসআই/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৮)