হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রাস্তার ইট সলিং ও কার্পেটিং কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কাজে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে দায়সারা কাজ করার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী প্রতিবাদী হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে- ঠিকাদার বলছেন, কাজের গুণগত মান যাচাই-বাছাই করবে ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু কাজের সাইডে ইঞ্জিনিয়ার দীর্ঘদিন যাবত যাননি আর উপজেলা প্রকৗশলী বললেন, তারা নিয়মিত ওই কাজের তদারকি করছেন। সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন এই পুকুর চুরির জন্য দায়ী কে?

অভিযোগে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শাখোয়া টুকের বাজার সংলগ্ন টুকেরপাড় মুখ সড়ক থেকে পুরুষত্তমপুর নদীর পাড় পর্যন্ত নবীগঞ্জ এলজিইডির অধীনে ৪ শত মিটার লম্বা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার ইট সলিং ও কার্পেটিং এর বরাদ্দ দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু এ কাজের উদ্বোধন করেন। কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদার রবীন্দ্র পাল রবি।

অভিযোগ উঠে- কাজ পাওয়ার পর তিনি নিম্নমানের মালামাল ইট, বালি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই রাস্তার মাটি ভরাট করা হয়েছে এবং নিম্নমানের কংক্রিট ও বালুর ভাগ বেশী দিয়ে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। মাটি ভরাটেও অনিয়ম হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

ওই ঘটনা এলাকার সচেতন মহলের নজরে পড়লে তারা গতকাল দুপুরে ঐক্যজোট হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে ঠিকাদারের লোকজন কাজ না করেই চলে যান। প্রতিবাদের বিষয়টির শুনে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এলাকাবাসীকে শান্তনা দিয়ে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার কাজ করা হবে। কোন দুর্নীতি করা হবে না।

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মুফিজুর রহমান হতাশার সুরে বলেন, কাজ শুরুর দিকেই ঠিকাদার নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করছে, অবশেষে নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার রবীন্দ্র পাল রবির সাথে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কত টাকার কাজ পেয়েছি কাগজ না দেখে বলতে পারব না।

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, কাজের গুণগত মান যাচাই-বাছাই করবে ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু কাজের সাইডে ইঞ্জিনিয়ার দীর্ঘদিন যাবত যাননি।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৗশলী সৈয়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা নিয়মিত ওই কাজের তদারকি করছেন এবং গত তিনদিন পূর্বেও কাজটি পরিদর্শন করে আসছেন। কাজ বন্ধের ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান।

(এমইউএ/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০১৮)