চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় চরমপন্থী ও জঙ্গী বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ। 

সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় দর্শনায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর কনফারেন্স রুমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন কথা জানান তিনি।

দিদার আহমেদ বলেন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এক সময় চরমপন্থী সন্ত্রাস কবলিত ছিলো। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। তারপরও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার জন্যই এই অভিযান পরিচালিত হবে। একই সাথে লক্ষ্য থাকবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা এবং চরমপন্থীদের গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। পাশাপাশি চলমান জঙ্গী বিরোধী অভিযান আরও বেগমান করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন ডিআইজি দিদার আহমেদ। জানান, আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ বাহিনী এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করছে।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিভিন্ন অপরাধের সাথে পুলিশের জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে ডিআইজি বলেন, পুলিশ একটি বাহিনী। দুই একজনের অপরাধে গোটা বাহিনীকে দায়ি করা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, কোন পুলিশ সদস্য অপরাধ ও শৃংখলা ভঙ্গ করে রক্ষা পাননি। আগামীতেও পাবেন না।

এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি নাহিদ আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি (এডমিন) হাবিবুর রহমান, পিবিআই’র পুলিশ সুপার নওরোজ মোর্শেদ, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার শুকলা সাহা, আর আর এফের পুলিশ সুপার তাসলিমা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

(টিটি/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০১৮)