ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরগাঁও সফর কালে দুর্ঘটনার শিকার হয় এক যুবক।কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ নেয়নি খোঁজও কেউ পরিবারটির কি হাল দশা।তবে রাজনীতি কার স্বার্থে করে নেতারা।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়,ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের বাজে একান্নপুর গ্রামের বাসেদ আলীর দ্বিতীয় ছেলে বিপ্লব আলি (১৮)।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জনসভায় যোগদানের লক্ষ্যে ট্রাকযোগে পীরগঞ্জ থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসার পথে রাস্তায় গাছের ডালে ধাক্কা খেয়ে ট্রাকের কেবিনের লোহার কেরিয়ার উল্টে গিয়ে তাঁর ডান হাতের দুটি আঙ্গুল আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৩ (তিন) নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুজ্জামান এর সহযোগিতায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপ্লব আলীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর রহিম উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লব আলীর আঙ্গুল গুলো বাঁচাবার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পরে কেটে ফেলে। সে পীরগঞ্জের বিএম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ডান হাতের আঙ্গুল দুটি কেটে ফেলায় সে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তার বাবা একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তার পরিবারের দাবি প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা যেন বিপ্লব আলীর যোগ্যতা ভিত্তিক একটি কাজের ব্যবস্থা করে দেন।

ঐ গ্রামের স্থানীয়রা জানান তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, সে অনেক কষ্টে তার ছেলেকে পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করে প্রস্তুত করেছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় তার ছেলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি । আঙ্গুল হারা বিপ্লব বলেন, আমার অনেক আশা ছিল আমি বড় হয়ে আমার পরিবারের দায় ভার গ্রহণ করব। কিন্তু এই আশা আমার পুরণ হলো না। এরই মধ্যে তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক সহযোগিতা ও কর্মসংস্থানের সহযোগিতার জন্য দুয়ারে দুয়ারে গিয়েও কোন ধরনের আশ্বাস পায়নি।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭ নং হাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের সাথে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি পীরগঞ্জে আছি। আপনারা পীরগঞ্জে আসেন।পীরগঞ্জে গিয়ে সাংবাদিকরা ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষার পরও তার সাক্ষাৎ পায়নি।

এদিকে কোন উপায় না পেয়ে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবী স্থানীয় নেতারা যদি তাকে নাই দেখে,তবে নেতারা রাজনীতি করে কার স্বার্থে।

তাদের দাবি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন এই পরিবারটির প্রতি নজর দেন।

(এফআইআর/এসপি/মে ০২, ২০১৮)