গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত মা।

জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সতিরজান গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের মেয়ে পারভীন বেগমের সাথে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবুল কালামের দীর্ঘদিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দ্বাম্পত্য জীবন সুখে স্বাচ্ছন্দে ভরপুর ছিল। কালাম হাবা-গোবা, সাংসারিকভাবে অনটনের কারণে ঢাকায় রিক্সা চালাতে গেলে কিছু সংখ্যক কুচক্রি মহল তার এই প্রতিবন্ধীতার সুযোগ বুঝে সু-কৌশলে ভ্যাসেক্টমি করাতে গেলে সে পুরুষত্ব কামউত্তেজনা হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্তায় বাড়িতে ফিরে এসে পুণরায় দ্বাম্পত্য জীবন শুরু করলে স্ত্রী পারভীন স্বামীর অক্ষমতার বিষয়টি বুঝতে পারে। এক পর্যায়ে স্বামীর সংসার করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

পারিবারিকভাবে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীকে বিষয়টি অবগত করলে তার ছোট ভাই মজিবর রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা হ্যাপি এর সাথে বিবাহ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে আশ্বস্ত করেন। এ সুযোগ বুঝে হ্যাপি পারভীনকে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে অবৈধভাবে দৈহিক মেলামেশার এক পর্যায়ে তার গর্ভে ধারণকৃত একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। পরে এলাকাবাসি গ্রাম্য শালিসিতে বিবাহ করার চাপ সৃষ্টি করলে হ্যাপি অনিচ্ছা প্রকাশ করায় পারভীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল সেং/০৩ এর ৯ (১) এর ধারায় ৬৭/২০১৮ নম্বর পিটিশন মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এদিকে পারভীন সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে মামলা করায় আসামীগণ মামলা তুলে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত অব্যাহত আছে।

(এসআইআর/এসপি/মে ০২, ২০১৮)