স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগের আগামী জাতীয় সম্মেলনে সমঝোতা করে নেতৃত্ব বাছাইয়ের চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সমঝোতা না হলে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শেখ হাসিনা।

আগামী ১১ ও ১২ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। তবে নেতৃত্ব বাছাইয়ে প্রক্রিয়া কী হবে এটা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে।

ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে গত সোমবার আওয়ামী লীগের নেতাদের ডেকে নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জানান, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অযাচিত কেউ যেন আসতে না পারে, সে জন্য পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্তের পাশাপাশি তাদের পারিবারিক পরিচয়ও দেখা হবে। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে স্বজনদের রাজনৈতিক বিশ্বাস আর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্ব বাছাই ভোটে নাকি প্রেস রিলিজে কমিটি দেয়া হবে- এই ছিল প্রশ্ন। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের কনফারেন্স হওয়ার, হবে। আমাদের নিয়ম আছে। সাধারণত সমঝোতা হয়। ইতিমধ্যে কে কে প্রার্থী, তার কাছে থেকে প্রস্তাব… ফরম ছাড়া হয় গেছে। এরপর সবাইকে নিয়ে বসা হয়, সমঝোতার চেষ্টা করা হয়, যদি সমঝোতা না হয়, ভোট হয়।’

‘প্রথম স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট আমরা শুরু করেছি। সেখানে এটা নির্ভর করে। যদি সমঝোতা করে নেয়া যায়, তাহলে সেটা প্রেস রিলিজ দিয়েই হবে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আর যদি না হয়, তাহলে ভোট হবে। যেহেতু এরা ছেলেপুলে, তাদের মধ্যে অন্য রকম উদ্দীপনা থাকবে। ভোটেরও আবার কিছু ভালো আছে মন্দও আছে, এটাও দেখতে হবে। আমরা চাই উপযুক্ত নেতৃত্ব এবং ছাত্র।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা বয়সসীমা বাধা আছে। এই বয়সসীমার মধ্যে প্রকৃত যে ছাত্র, যে মেধাবী নেতৃত্বে আসুক, এটা আমরা চাই। সেই আলোকেই আমরা কাজ করব। যদি দেখা যায় ভোটের মধ্যে উল্টাপাল্টা আসে, তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এটাও মাথায় রাখতে হবে।’

(ওএস/এসপি/মে ০২, ২০১৮)