মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : বাগান তো নয় এ যেন এক টুকরা ভালবাসার উদ্যান। এই বাগানে প্রজাপ্রতি ও ভ্রমর স্কুল শিক্ষার্থীরাই। ওদের আলতো ছোঁয়ায় বেড়ে উঠছে স্কুল বাগানে রোপন করা প্রতিটি ফুলের গাছ। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে করা ফুলের বাগান এখন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে স্বর্গোদ্যান হয়ে উঠেছে।

কলাপাড়া সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সাগর তীরবর্তী ধুলাসার ইউনিয়নে ১৯৪৩ সালে মরহুম উকিল উদ্দিন হাওলাদার ৬৬ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন ৫৭নং ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এ বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করছে।

“শিশু বান্ধব বিদ্যালয়” হিসেবে স্বীকৃত এ বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে ইউনিসেফ’র সহায়তায় শ্রেণি কক্ষ সজ্জিত করার পাশাপাশি আধুনিক স্কুলে রূপ দিতে এক লাখ টাকা সহায়তা করা হয়। এই টাকা থেকে প্রায় ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে করা হয় এই স্কুল বাগান।

স্কুল শিক্ষার্থী ফাতেমা মেহজাবিন, মৌরিন, মোরসালিন, ইব্রাহিম, জুম্মন। এরা সবাই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা জানালো,“ প্রতিদিন স্কুলে এসে বাগান পরিস্কার করা,পানি দিয়ে বাগান পরিচর্যা করতে তাদের ভালো লাগে। ক্লাসের অবসর সময়ে এই বাগানেই তাদের সময় কাটে।”

স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিশাল স্কুল মাঠে বাগানটি আরও বড় হলে ভালো হতো। এখানে এখন গোলাপ, পাতাবাহার, বেলিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গবাদিপশু থেকে বাগানের গাছ রক্ষার জন্য বাগানের চারিদিকে গ্রিল করে নিরাত্তা বেড়া দেয়া হয়েছে।

একাধিক অভিভাবক জানান, শিশুদের কাছে বাগান এখন এক টুকরো স্বর্গোদ্যান। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হলে শিক্ষার্থীরা যেমন ফুল-ফলের গাছ চিনতে পারবে, তেমনি স্কুলের সৌন্দর্যও বাড়বে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিশুবান্ধব স্কুল হিসেবে উপজেলায় সুনাম রয়েছে তাঁদের বিদ্যালয়ের। এই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মনোরম করতে এই বাগান করার উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরাই এই বাগান পরিচর্যা করছে। শিক্ষকরা শুধু নির্দেশনা দিচ্ছেন।

(এমকেআর/এসপি/মে ০৩, ২০১৮)