স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আংশিক প্রশ্ন ফাঁস হলেও কোনো পরীক্ষা বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর কারণে পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। তবে ভবিষ্যতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রশ্ন ফাঁস যাচাই-বাছাই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় ০.২৫ শতাংশ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। শুধুমাত্র ‘খ’ সেট বা নৈব্যক্তিক ৩০ নম্বরের অংশ ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে সুবিধা নিয়েছে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। তবে মাদরাসা বোর্ডের কোনো প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং সুবিধা নেয়া পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে ফলাফল বাতিলসহ ব্যবস্থা, প্রশ্ন ফাঁসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিকাশ-রকেটসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেনকারীদের তথ্য সগ্রহ করে সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরগুলো চিহ্নিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাত্র পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক হবে না। এ কারণে কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস না হয়।

তিনি বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা চ্যালেঞ্জ ছিল। সবার সহযোগিতার কারণে এখন পর্যন্ত এইচএসসিতে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকে বিচার বিশ্লেষণ না করেই ঢালাওভাবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অপরাধী বানিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য অবিচার কারা হয়েছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

(ওএস/এসপি/মে ০৩, ২০১৮)