কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ছেলেকে জমি লিখে না দেয়ায় মা রহিমা বেগম (৪২) কে ঘরের আড়ার সাথে হাত ও খুটির সাথে দুই পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে পাষন্ড ছেলে রিপন খাঁ ও পুত্রবধূ রাবেয়া খাতুন। নির্মম নির্যাতনে তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় আহত রহিমা বেগমকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছেলের নির্যাতনে অসহায় মা এখন হাসপাতালের বেডে শুইয়ে এখন শুধুই দুই চোখের জল ফেলছে। একটু পরপর আঁতকে উঠছে ছেলের ভয়াল রূপ মনে করে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে রহিমা বেগম।

জানা যায়, উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে রিপন খাঁ পিতার সম্পত্তির চার বিঘা জমি বিক্রি করে মুদি দোকানের ব্যবসা করছে। নিজের ব্যবসার জন্য পিতার শেষ সম্বল আরও চার বিঘা জমি তার নামে লিখে দিতে বলে রিপন। কিন্তু প্যারালাইসড আক্রান্ত স্বামী ও তিন মেয়ের ভবিষৎ চিন্তায় এ জমি লিখে দিতে অস্বীকৃতি জানায় মা রহিমা বেগম।

রহিমা বেগম বলেন, জমি লিখে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছেলে রহিম ও পুত্রবধু রাবেয়া তার সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে বেধম মারধর করে। এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার দুই হাত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে পা ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে আবারও মারধর করে। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে মুখ দিয়ে হাতের বাঁধন খুলে তাদের অগোচরে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বিষয়াট পুলিশকে জানান।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। থানায় ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে রহিমা বেগম। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমকেআর/এসপি/মে ০৪, ২০১৮)