মাগুরা প্রতিনিধি : কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি টি আর প্রকল্পর বরাদ্দের টাকা দিয়ে পুরাতন কোর্ট ভবনের হাজতখানা ভেঙ্গে নিজের জন্য অফিস বানাচ্ছেন শালিখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও মিরাজ হোসেন খান। ভবনটির মালিক গণপুর্ত বিভাগ হলেও এজন্য তিনি নেননি কোন পূর্ব অনুমতি। এমনকি হাজতখানার নকশা পরিবর্তন করে নিজের জন্য আধুনিক অফিস তৈরীর কাজ শুরু করলেও তা অবিহিত করেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পর্যন্ত। যদিও পিআইও বলছেন, উপজেলা পরিষদের অনুমতি নিয়েই তিনি নিজের জন্য এ অফিস তৈরী করছেন।

শালিখা উপজেলার পুরাতন কোর্ট ভবনের মালিক গণপুর্ত অধিদপ্তর। উপজেলা আদালত বাতিল হওয়ার পর ভবনটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার অফিস রুমের পাশে থাকা পুরাতন হাজতখানর সামনে ও পেছনের ওয়াল ভেঙ্গে ডিজাইন পরিবর্তন করে আধুনিক অফিস রুম তৈরীর করেছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যর টিআর প্রকল্পের অর্থ ব্যায় করছেন। যদিও নিয়ম রয়েছে গণপুর্ত বিভাগের অনুমতি ছাড়া নকশা পরিবর্তন দূরের কথা কোন প্রকার সংস্কার কাজও করা যাবে না।

স্থানীয়রা সমাজ কর্মী ও জেলা জাসদের সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী বলেন, পিআইও মিরাজ হোসেন খানের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্দ নিয়ে দুনীর্তির অভিযোগ রয়েছে। এখন কোন অনুমতি না নিয়েই গণপুর্তর ভবন ভেঙ্গে নিজের জন্য অফিস বানাচ্ছেন। যা সম্পুর্ণ বেআইনী

পিআইও মিরাজ হোসেন খান বলছেন, তিনি উপজেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে অফিস রুম তৈরী করছেন। গণপুর্তর সাথে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তা অবসানের চেষ্টা চলছে।

যদিও শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, গণপুর্ত বিভাগের ভবন ভেঙ্গে ডিজাইন পরির্তন করে পিআইও যে অফিস তৈরী করছে এ বিষয়ে তিনি অবগত নন।

গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছেন পিআইও শালিখা উপজেলার আদলতের পুরাতন হাজতখানা ভেঙ্গে ডিজাইন পরিবর্তণ করে নিজের জন্য অফিস বানাচ্ছেন। এ জন্য তিনি কোন অনুমতি নেননি। গণপুর্ত বিভাগের অনুমতি ছাড়া মডেল পরিবর্তনতো দূরের কথা কোন সংস্কার কাজ করাও বে-আইনী। এ ধরনের কাজে উপজেলা পরিষদের অনুমতি দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। অনুমতি না নিয়ে গণপুর্তের ভবন ভাঙ্গার ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

(ডিসি/এসপি/মে ০৪, ২০১৮)