নিউজ ডেস্ক : আজ ৫ মে। ২০১৩ সালের এই দিনে ১৩দফা দাবিতে ঢাকা অবরোধ করে রাজধানীতে ব্যাপক তাণ্ডব চালান হেফাজতের কর্মীরা।

রাজধানীর মতিঝিল ছাড়াও দেশের কয়েকটি স্থানে সহিংসতা হয়। এসব ঘটনায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারা দেশে ৭০টি মামলা হয়। এরপর ওই ঘটনার ৫ বছর পার হলেও ওই ঘটনায় করা মামলা তদন্তে তেমন কোনো গতি নেই।

মামলার এজাহারের বিবরণ ও হিসাব অনুযায়ী, সমাবেশের নামে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবে ভস্মীভূত হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি দোকান, ব্যাংক, একাধিক ব্যাংকের এটিএম বুথ, সরকারি গাড়ি, বাস, মোটরসাইকেল, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধশতাধিক কোটি টাকা। হাজার হাজার বই ও পবিত্র কোরআন-হাদিসেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কেটে ফেলা হয়েছিল রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনকারী শত শত গাছ। ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচির নামে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নেমে আসে অরাজক পরিস্থিতি।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক ইসলাম অবমাননা প্রশ্নে ‘হেফাজতে ইসলাম’ মাঠে নামে। এরপরই ধর্মনির্ভর সংগঠনটি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে মাঠে নামে। ওই বছরের ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ কর্মসূচি দিয়ে তারা আলোচনায় আসে। পরের মাসেই (৫ মে) ঢাকা ঘেরাও এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে বসে সংগঠনটি।

সরকার দলের অভিযোগ, হেফাজতের ওই কর্মসূচিতে নেপথ্যে থেকে ইন্ধন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানে মধ্যরাতের অভিযানে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

পুলিশের দাবি, ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হেফাজতের সাত কর্মী, এক পুলিশ সদস্য এবং তিনজন সাধারণ মানুষসহ মোট ১১ জন নিহত হন। তবে হেফাজতের পক্ষ থেকে এবং একটি বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই থেকে ৩ হাজার বলে দাবি করে।

(ওএস/এসপি/মে ০৫, ২০১৮)