জে জাহেদ, চট্টগ্রাম : কর্ণফুলী উপজেলার উত্তর ডাঙ্গারচর ১নং ওয়ার্ডের মহছনিয়া মসজিদ সড়কে এখনো রয়েছে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা।

শহরের পাশে উপশহর বলা যায় কর্ণফুলীকে। তবে এ উপজেলার সবকটি রাস্তা পাকা হলেও এখনো অনুন্নত ডাঙ্গারচর। স্থানীয়দের দাবি বিষয়টি এখনো ভূমিপ্রতিমন্ত্রী জানেন না।

এখনও যেখানে পৌঁছেনি উন্নয়নের ছোয়া কিংবা কাচা সড়কে ইট বিছানোর মতো কার্যকর পদক্ষেপ।
বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তা গুলো চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সহস্রাধিক জনসাধারণকে। এছাড়াও কাঁচা রাস্তার পাশে অবস্থিত এলাকাগুলো উন্নয়নে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় মোট সড়কের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ব্রিকস/সলিং করা হলেও বাকি রয়েছে উত্তর ডাঙ্গারচরের কিছু অংশ।

বর্ষা মৌসুমে কর্ণফুলীর বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা হয়। তার মধ্যে অন্যতম ডাঙ্গারচরের মহছনিয়া মসজিদ সড়ক। বৃষ্টির মৌসুমে গ্রামীণ এই কাঁচা সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

কাদা রাস্তায় দুর্ভোগে পড়তে হয় গ্রাম অঞ্চলের মানুষকে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এমনকি এলাকার রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ে।

তবুও প্রয়োজনের তাগিদে দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই যাতায়াত করছে ডাঙ্গারচরের মানুষ। শুধু কাঁচা রাস্তায় নয়, অল্প বৃষ্টিতে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে গতকালও।

ওই সময় রাস্তায় ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।

স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, ছোট শিশু, বৃদ্ধ মহিলা ও লোকজন এতে প্রতিনিয়ত সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়।

কলেজ শিক্ষার্থী শিউলি জানান, "দীর্ঘদিন যাবত তাঁরা কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। গ্রাম থেকে দুই কিঃমিঃ পরেই পাকা রাস্তা পাওয়া যায়। অথচ সামান্য কাজ না করায় যাতায়াত করতে জনগণকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে"।

এলাকাবাসী জানান, যদিও গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য হতদরিদ্র কর্মসূচি চালু রেখেছে সরকার। তবুও এই গ্রামীণ কাঁচা সড়কে কোন বরাদ্দ বা প্রকল্প রাখেনি।

ডাঙ্গারচরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বদি জানান, "এলাকার লোকজনের স্বেচ্চাশ্রমে মাটি কেটে কিছুটা উঁচু করেছি। তারপরেও ভরা জোয়ারে পানি ঢুকে গ্রামে"।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ জানান, মহছনিয়া মসজিদ সড়কের পুর্বের ভাঙ্গা ইট সরানো হয়েছে। সরকারি বাজেট আসলেই কাজ ধরার চিন্তা করছি।

দীর্ঘদিন যাবত এ সড়কের এ অবস্থা কেন জানতে চাইলে আবু জাফর নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, সরকারি বরাদ্দ আসে কিন্তু কাজ হয় না। যাদের অধীনে কাজ আসে তাদের পকেট তাজা হয় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

(জেজে/এসপি/মে ০৫, ২০১৮)