নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : নাগরপুর উপজেলার সকল জমিতে পাঁকা সোনালী ধান। আর কয়েক দিন পরই কৃষকের ঘরে আসার কথা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফলানো অনেক স্বপ্ন মাখা সোনার ধান। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ কৃষকের সে স্বপ্নকে বিঘ্নিত করছে।

ভারী বর্ষণে পাঁকা ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। গ্রীস্মের এ সময় এত ভারী বর্ষণ কৃষক আগে আর কখনো দেখেনি। ধানের এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক। কৃষকের ঘরে চলছে হতাশার মাতম।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর নাগরপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এবছর ধানের চারা রোপনের পর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড় আর টানা বৃষ্টিতে লাভের বদলে লোকসানের আশংকা দেখা দিয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়, ভারী বর্ষণ তার সাথে যোগ হয়েছে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি। এতে করে পাঁকা ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। নিচু জমি ও চরাঞ্চলের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে যে সকল কৃষক অধিক শ্রমিক মূল্য দিয়ে ধান কাটছে তারা বৃষ্টির কারণে মাড়াই ও শুকাতে পারছে না।

উপজেলার মামুদনগর গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, এবার ভাল ফলন হলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফসল তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে শ্রমিকরা জমিতে নামতে সাহস পাচ্ছে না।

চরাঞ্চলখ্যাত কেদারপুরের কৃষক রফিক মিয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে। আজ কালের মধ্যে বৃষ্টি বন্ধ না হলে আমরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বি.এম রাশেদুল আলম জানান, আমি উপজেলার ভাদ্রা, সহবতপুর ও ভারড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। যদি সামনে আর শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় না হয় তাহলে কৃষক তার কাঙ্খিত ফলন পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

(আরএসআর/এসপি/মে ০৫, ২০১৮)