মাদারীপুর প্রতিনিধি : নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, দেশের মানুষকে জয় বাংলা শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যারা বলেন জয় বাংলা হিন্দুদের শ্লোগান তারা জেনে রাখেন, ইসলামের ইতিহাস পড়েন।  আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মক্কা বিজয়ের সময় একটি আওয়াজ করেছিলেন ‘ফাতুল মক্কা ফাতুল মক্কা’ এই আরবি শব্দের অর্থ কি আপনারা জানেন, তা হচ্ছে ‘জয় মক্কা জয় মক্কা’। যদি আমাদের নবী নিজের মাটির জন্য জয় মক্কা বলতে পারেন, তা হলে আমার মাটির বিজয়ের জন্য কেন জয় বাংলা বলতে পারবো না। 

মাদারীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে গণ্যহত্যা দিবস বিএনপি কোন দিন পালন করতে পারবে না। কারণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিশে^র ১১৪টি দেশ মিলিত হয়ে একটি সম্মেলনে বসেছিলেন এবং সেখানে একটি চুক্তি হয়েছিল ২০০২ সালের পূর্বে যে সমস্ত দেশে গণহত্যা হয়েছিল সে সব দেশে এর কোন বিচার হবে না। খালেদা জিয়া আর কোন দিন বলতে পারবে না যে, সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মধ্যে কোন কোন্দল নেই। আমরা আওয়ামীলীগকে ভালোবাসি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। তরুণই প্রজন্মকেও একই আদর্শ বুকে ধারই করে রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্য রক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, একটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যেন কেউ কটাক্ষ্য না করে। যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করে না, জয় বাংলা শ্লোগান দেয় না, সে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। আজকের প্রজন্মকে আরো অনেক কিছু জানতে হবে, শিখতে হবে এবং বুঝতে হবে। লড়াই আদর্শিক। লড়াই হবে দর্শনের। আদর্শিক হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। দর্শন হচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা, আমার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং বাংলাদেশ এই যে বিষয়গুলো চেতনায় দিতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আর তাই সকলকে একত্রে থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।

মাদারীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি সাইদুল বাশার টফির সভাপতিত্বে সম্মলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ্যাড. আসাদুজ্জামান দুর্জয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিয়াজ উদ্দিন খান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাজাহান হাওলাদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান প্রমুখ।

(এএসএ/এসপি/মে ০৫, ২০১৮)