কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল আলম তালুকদার এখন সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া দেড় একর জমিতে চাষাবাদসহ মাছের ঘের করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। লালুয়ার চান্দুপাড়া মৌজার ৩৬৬ নম্বর খতিয়ানের ১৪৮৬ নম্বর দাগে এ জমির অবস্থান।

ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তার জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একই এলাকার নজরুল মেম্বারের ছেলে বাদল হাওলাদারসহ স্থানীয় একটি চক্র তার এ জমি দখলের জন্য বিভিন্ন ধরনে হয়রাণি করে আসছে। কাজ করতে গেলেই বাঁধা প্রদান ও হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এবং নির্বিঘ্নে জমিতে অবস্থানসহ মাছ চাষ করে জীবিকার যোগান দেয়ার নিরাপত্তা চেয়ে রোববার সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিঁনি জানান, তার মুক্তিবার্তা লাল বই নম্বর ৬০৩০৫০০১৪, গেজেট নম্বর ৭১২। আগরতলা মামলার ২৬ নম্বর আসামি ছিলেন। ভূমিদস্যু বাদল হাওলাদার গং শামসুল আলমের কাছ থেকে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করেণ। যার দাগ নম্বর ১৪৮৯, খতিয়ান ৩৩৯। কিন্তু শামসুল আলম শঠতামি করে দাগ নম্বর ১৪৮৯ এর পরিবর্তে ১৪৮১ উল্লেখ করে দেয়।

এছাড়া বাদল হাওলাদার বাজার কমিটির কাছ থেকে ১৪৮৫ দাগের একটি জমি ব্যবসা করার জন্য পজিশন কেনেন। কিন্তু বাদল ওই দাগের জমি রেখে ওহিদুল আলমের জমি দখলে বিভিন্ন ধরণের হয়রাণিসহ মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল আলম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ওহিদুল আলম আরও জানান, তাঁর সন্তান-সন্তুতি লেখাপড়া করছে। ঢাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলমসহ ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে বাদল হাওলাদার জানান, মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল আলম আগে ১৪৮৬ দাগেই ছিলেন। আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করতে গেলে এই সময় ১৪৮৯ দাগের জমিতে মাছের ঘের করতে থাকেন। তখন বাড়িতে এসে তাকে তার সঠিক দাগে যাওয়ার জন্য বলেছেন। কোন হুমকির ঘটনা ঘটেনি।

(ওএস/এসপি/মে ০৬, ২০১৮)