জামালপুর প্রতিনিধি : বির্তকিত দু’জনকে গুণিজন সন্মাননা দেয়ায় শিল্পকলা গুণিজন সন্মাননা-২০১৭ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলপাড় চলছে। শনিবার রাতে শিল্পকলা একডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সন্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন করে জেলার অধিকাংশ শিল্পি,সাহিত্যিক ও সাস্কৃতিক কর্মীরা।

কন্ঠ সংগীতে অজন্তা রহমান, নাট্যকলায় আবুল মুনসুর খান দুলাল, নৃত্যকলায় হাবিবুর রহমান জাহাঙ্গীর, যন্ত্র সংগীতে ফজলুল করিম ও আবৃত্তিতে তরিকুল ফেরদৌসকে সন্মাননা দেয়া হয়। আবৃত্তিতে তরিকুল ফেরদৌস ও নাট্যকলায় আবুল মনসুর খান দুলালকে গুণিজন সন্মানা দেয়া নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলপাড় শুরু হয়। সিংহভাগ সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে গুণীজন সন্মাননা অনুষ্ঠানের যোগ দেয়া প্রধান অতিথি পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও আয়োজকেরা।

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে সরকারী আশেক মাহমুদ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ কবি মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী বলেন, সাংস্কৃতিক দৈন্যে আজ গুণীজন খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে। গুনীদের কদর করতে না পারি,যেনতেনভাবে কাউকে ধরে বেঁধে সন্মান দিতে গেলে সন্মান প্রদায়ক অনুষ্ঠান হয় বটে, তাতে সাংস্কৃতির উপকার হয়না। বরং যারা দেন আর যারা নেন তাঁরা উভয়েই অসন্মানের অধিকারী হন। গুণির একজটা স্ট্যান্ডার্ড মান থাকাও উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
লেখক ও মানবাধিকার কর্মী জাহ্ঙ্গাীর সেলিম মন্তব্য করেন, বিচারকদের আরো বিবেচনাপ্রসুত হওয়া বাঞ্চনীয়। নাইলে সন্মাননা নিয়ে মানুষের অশ্রদ্ধা বাড়বে।

টিআইবি সদস্য শিক্ষক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা এক প্রকার শিল্প। আবৃত্তিতে যোগ্য,প্রাজ্ঞ ও যাদের অতিত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের হাতে আবৃত্তিতে গুণিজন নির্বাচনে বিচারকের দায়িত্ব দেয়া উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পকলার নাট্য ও সাস্কৃতিক কর্মীরা বলেন, দেবজ্যোতি সেন শর্মাসহ অনেক গুণি আবৃত্তিকার থাকা সত্বেও কালচারাল অফিসারের খাতিরে লোক হওয়ায় তরিকুল ফেরদৌসকে সন্মাননা পাইয়ে দিয়েছে। নাট্যকলাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। সন্মাননা বাছাইয়ে অর্থ ও তদ্বিরের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার একক সিদ্ধান্তে গুণিজন সন্মাননা বাছাই হয়নি। গুনিজন সন্মাননা বাছাইয়ে কমিটি করা হয়েছিল। কমিটি সিদ্ধান্তে সব হয়েছে।

(আরআর/এসপি/মে ০৬, ২০১৮)