পৃথিবীতে অনেক কিছুর মধ্যে সৌন্দর্য্যের অন্যতম হচ্ছে সুন্দর ফুল। ফুলের মধ্যে রয়েছে পাপড়ির বিন্যাস, রঙের বৈচিত্র্য এবং গন্ধের মাধুর্য যা মানুষের মনকে ভরে তোলে স্বর্গীয় আনন্দে। ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রকৃতি প্রেমী মানুষরাই যুগে পর যুগ ধরে ফুলকে বিভিন্ন ভাবে ভালোবেসে আসছে। ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক, ভালোবাসার প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক কিংবা নিষ্পাপতার প্রতীক। শিশুদের ভালো মানুষ নিষ্পাপ-নিষ্কলঙ্ক হতেই অনেকেই উদ্বুদ্ধ করে, ‘ফুলের মতো পবিত্র হও'। শিশুরা নিষ্পাপ ও পবিত্র বলে ফুলের সঙ্গেই তুলনা করেন কালজয়ী মানুষ। আবার সেই মানুষরা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও বলে থাকেন ‘'ফুলের মতো পবিত্র'' নেতা চাই। আসলেই চাওয়া পাওয়ার মাঝেই বলা যায় "ফুল" শ্রেষ্ঠ। তাই মানুষের প্রতি মানুষের যুগ যুগ ধরেই তো সৌন্দর্য ও প্রেম সহজাত। সহজাত সৌন্দর্য কিংবা প্রেম থেকেই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান অথবা উৎসবে ব্যবহার হয়ে আসছে ফুল।

হিন্দু সনাতন ধর্মে ফুুল ছাড়া পূজার্চনার কথা তাঁরা ভাবতেই পারে না। আবার আল্লাহ্ তা আলার পবিত্র কোরআনেরও বিভিন্ন স্থানেই এ ফুলের কথা উল্লেখ করেছেন। ফুল নিয়ে কবিতা লিখেননি বা ফুল দিয়ে উপমা দেননি এমনটাই বিরল। পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত ফুল নিয়ে কবিরা শত-সহস্র কবিতা লিখেছেন তা প্রকাশ করা দুরূহ। কবিতার পাশা পাশি অনেক গানেও ফুলের ব্যবহার অধিক। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ, কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানেও বহুত ফুলের ব্যবহার লক্ষণীয়। এমন কি যে সব ফুলের প্রতি গণ মানুষের কোনো রূপ আগ্রহ নেই বা কখনোই ছিল না, কবি নজরুল সেসব নিয়েও যেন অনবদ্য সঙ্গীত রচনায় মত্ত ছিলেন। লিখবেনই না কেন? অনেকেই তো ফুলকে পুজোনীয় ভাবে দেখেন। কেউ কেউ হয় তো বা তৃপ্তি ভরে কোনও প্রিয় বস্তু বা পুস্তকে অথবা ম্যাগাজিনের মলাটেও ফুলকে ব্যবহার করে।

বহুত আগ্রহের সঙ্গেই বলতে হয়, ১৮৪০ সালে ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া তাঁর বিয়ের সময়েই প্রিয় মানুষকে ফুল দেয়ার রীতিতেই প্রথম চালু হয়েছিল ভালবাসা নামক ফুল দেওয়া নেওয়ার ব্যবহার। এ ফুল চর্চার বয়স কিংবা ইতিহাস বলা যায় পৌনে ২০০ বছরের। আসলেই বলতে হয় মানব-সংস্কৃতির পরতে পরতেই ছড়িয়ে রয়েছে হরেক রকমের ফুল। তাই বাঙালির জীবনাচার কিংবা ভালোবাসার অর্ঘ্যতে ফুল শুধুই সৌন্দর্য এবং সুবাস ছড়ানোতে যেন সীমাবদ্ধ নয়। ফুলের মাঝেই তো রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। কিছু ফুল খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্যে অবশ্যই খুব ভালো। সুতরাং ফুল নিয়ে এতো আলোচনার উদ্দেশ্য হলো ধর্মাবলম্বীরাও ফুল ব্যবহার থাকে প্রতিটি কাজে বা স্ব ধর্মের বিধান মতে। তাই এমন 'বিজুফুল' পুস্তকের সম্পাদক সম্পাদনায় সার্থক। এর অঙ্গসজ্জাকে খুব শৈল্পিক ও রুচিশীল করে উপস্থাপনের জন্য। নির্মল বড়ুয়া মিলন বাবুর সম্পাদকীয় লেখাটিকে অবশ্যই মূল্যায়ন করে সত্যিই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন প্রয়োজন।

এই 'বিজুফুল' পুস্তক কিংবা ম্যাগাজিনের নামকরণ অনেক সার্থক একটি নাম। দুষ্প্রাপ্য এমন বিজুফুল পাহাড়ীয়া জঙ্গলেই জন্ম নেয়। চৈত্রের শেষেই নাকি একবারই তা প্রস্ফুটিত হয়। বইয়ের এই মলাটটিকে নান্দনিকতার রূপ দিতেই জুঁই চাকমার তোলা গহীন বনের দুষ্প্রাপ্য এই বিজুফুলের ছবিটি অনেকাংশেই পাঠকে আকর্ষণ করেছে। বিজু ফুলকে নিয়ে আরও বিস্তারিত পর্যালোচনায় জানা যায় যে, বিজুফুলেরই সম্পাদক দুর্দান্ত চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।

কারণ হলো, বিজু চাকমা আদিবাসী সম্প্রদায়দের অন্যতম প্রধান দিক, তাঁরা আনন্দ-উৎসব করে এই বিজুফুল নিয়ে। বাংলা বছরের শেষের দুই দিন সহ নববর্ষের দিন বিজুফুল দিয়ে উৎসব পালন করে। ফুল নিয়েই কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন, জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি । দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী! এমন ফুলই শুধু মিটায় দেহের ক্ষুধা, হৃদয়-প্রাণের ক্ষুধা। সুচতুর অনুমানে প্রচলিত এই ধরনের অনেক ফুলের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়েই হয়তো নির্মল বড়ুয়া মিলন বইটির নামকরণের সার্থকতা খোঁজে পেয়েছেন। সত্যিই বিজুফুল খুব সার্থক একটি নাম।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধাণ ৩ টি আদিবাসী সমাজের বর্ষ বরণ উৎসব। এটি তাদের প্রধাণ সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুক, বৈসু বা বাইসু , মারমাদের কাছে সাংগ্রাই ও চাকমা কিংবা তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছেই বিজু নামে পরিচিত। বসন্তে যেন হলুদ-সবুজ প্রকৃতি এবং পাহাড় জুড়েই তরু পল্লবে সবুজের আচ্ছাদন। তাই তো বইয়ের প্রচ্ছদে সুদক্ষ সম্পাদক এমন এই রংয়ের চমকপ্রদ সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তাঁর এই কর্ম দক্ষতায় এমন উদ্যোগ সত্যিই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী বিজুফুলের উৎসব, বন্ধনের এক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও জাতীয় ঐক্যেরই সুদৃঢ় কারণ। তাই বাঙলা নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে সামনে এনেই সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম “বিজু ফুল” ম্যাগাজিন বা পুস্তক প্রকাশ করেছে।

বিজুফুল এর ব্যবস্থাপনায় সকল কলাকুশলীদের কৃতজ্ঞতার সহিত জানানো যায় যে, এটি অবশ্যই গুনী জনদের চমৎকার লেখনীর প্লাটফর্ম হিসেবেই দাঁড় হয়েছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেই প্রকাশিত এই প্রথম জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবেই একটি পুস্তক।

২৮ শে চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, ১১ এপ্রিল ২০১৮ সালে এই বই আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে সকাল ০৯ টা ৩০ মিনিটে সকল অনলাইনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সহ উল্লসিত ভাবেই মোড়ক উন্মোচন করেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ছিলেন এই অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান অতিথি।

জানা দরকার, এই বিজুফুল নামকরণের সার্থকতা। উৎসবের দিনে সবাই সবাইকে স্বাগত জানায়, ধূপ, চন্দন ও প্রদীপ জ্বেলে, পূজাও দেয়, উপাসনা করে। সবাই গ্রামেগ্রামে ঘুরে বেড়ায়। বাড়ি গিয়ে তাঁরা যেন পাচন, সেমাই, মিষ্টি খায়। তাছাড়া কলাপিঠা, চুয়ান পিঠা, জাল পিঠা, উন পিঠা এবং মায়ুং পিঠা খায়। তাঁরা নিরামিষ ভোজনও করে তাঁরা জানে যে, ভাল কিছুর উদ্যোগে এমন আচরণে কোনও প্রাণি কিংবা ব্যক্তি তাঁদের বধ করতে পারে না। তাঁদের অনুষ্ঠানে সকলকেই ফুল দেওয়া হয় এবং উপাসনা করা হয়। তাঁরা বয়োজ্যেষ্ঠদের গোসল করিয়ে পায়ের কাছেই পূজার নৈবেদ্য হিসেবে ফুল রাখে এবং প্রণাম করে। কেউ কিছু না খেয়ে ফিরে না যায় সেজন্য সারা দিন ঘরের দরজা খোলা রাখে। এতে করে নাকি গৃহস্থের কল্যাণ হয়। তাই তো এতো কিছু চিন্তা মাথায় নিয়ে পুস্তকে নামকরণের সার্থকতা খুঁজতে চাইছে সুদক্ষ সম্পাদক।

"বাবু নির্মল বড়ুয়া মিলন" তাঁর সম্পাদকীয় পাতায় প্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এমন প্রকাশনা যদি কোনও পাঠক হৃদয়ে বিন্দু পরিমাণ স্থান করে নেয় তাহলেই তাঁর প্রচেষ্টা সার্থক। অবশ্যই তাঁর এই উক্তি বাস্তবে অবশ্যই শতভাগ অগ্রগতি পাবে বলেই মনে করি। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় এমন এই সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিজুফুল বই সুুনাম অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। হাটিহাটি পা পা করে গুহাবাসী মানব আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করছে। পরাধীন জাতি থেকে বহু সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকারেই আজ স্বাধীনতা অর্জন, সার্বভৌমত্বে রাষ্ট্র গঠনে আজ এ বাংলাদেশ। তাই এমন দেশেরই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর হাজারো সংগ্রামের ফসলই আজ 'বিজু' শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা। আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্যই এমন বিজু ফুল পুস্তক অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করি। বাংলার তেরো পার্বনের মধ্যে সারাবছরে অনেকগুলো উৎসব হয়। তেমনি এই বিজু উৎসবও ১৩ পার্বনের অনুরূপেই অনেক আদিবাসী জুম্মদের একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক চাহিদা এবং জাতীয় উৎসব হিসেবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু কাগজে কলমে লিখিত ইতিহাস অনেকাংশেই বলা যায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু আদবাসীদের পূর্ব পুরুষদের জীবন যাত্রা, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতিফলন বিজুফুলে ঘটবে।

'বিজুফুল' বই বা ম্যাগাজিনের পাতায় পাতায় যারা

সাফল্য কামনায় শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন সকলেই স্ব স্ব স্থানের নিজ পদবী দিয়ে এর মান আরও বৃদ্ধি করেছে। তাঁরা এ পুস্তকের শুরুর পথেরই নিত্যসঙ্গী বলে ধারণা করি। এমন গুনীজন যেমন, রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. টিপু সুলতান, উপ-বন সংরক্ষক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নেতা এবং চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, রাঙামাটির শিক্ষার ক্ষেত্রে বহু অবদানেই ভূষিত তিনি সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ জাফর আহমদ সহ মোট ১১ জন পদস্থ ব্যক্তি। আরও ভিতর পাতায় ১লা বৈশাখের ঐতিহ্য, অগ্রযাত্রা ও প্রকৃতি নির্ভর জীবন যাপনের বিনোদন তুলে ধরেছে নজরুল ইসলাম তোফা এবং লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।যুগোপযোগী আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিজ্ঞান চেতনার পুরুষ, সুশিক্ষা এবং সংস্কৃতির সুচিন্তিত অভিমতের একজন আলোকিত গুনী শিক্ষাবিদ, তিনি সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বিজুফুল পুস্তকে লিখেই পাঠকদের পড়ার আগ্রহ জাগ্রত করেছে। তিনি শিক্ষকের মান অপমান নিয়ে লেখা দিয়ে "বিজু ফুল" পুস্তকের মান বৃদ্ধি করেছে। সি এইচ টি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডট কমে বিজুফুলে সংবিধান প্রণেতা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবি- ড. কামাল হোসেন, সাইফুল হক সহ সুদক্ষ লেখক সোমনাথ সেন গুপ্তের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। যা বিজুুুফুল পুস্তকের নান্দনিকতা ও রুচির মান বৃদ্ধিতে অধিকাংশে ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছে। আরও যাঁরা এ 'বিজুফুল' পুস্তকে লিখে পাঠকের পাঠযোগ্য করে তুলতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তাঁরাও খুব যুক্তিযুক্ত লেখক হিসেবেই বিবেচ্য।

পুস্তকের শেষাংশের মলাটে পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছবিই যে থাকবে তা কিন্তু নয়। এ বিজু ফুল পুস্তক সার্বজনীনভাবে সমগ্র বাংলাদেশের পাঠকের বই হওয়া উচিত। তাই চাকমা জাতির জীবন বৃত্তান্ত সহকারে বৈশাখী আয়োজনে এমন এ 'বিজুফুল' বই প্রকাশ হয়েছে, সেই জন্যই অনেকাংশেই যুক্তি যুক্ত হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই কম্পিউটার গ্রাফিক্সের সমন্বয়ে ছোঁয়া অনেক দৃষ্টি নন্দন হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে পুস্তকটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এমন বইটিতে বিভিন্ন দিকের গ্রহণ যোগ্য আলোচনা উঠে এসেছে। সুতরাং বাঙলা ১৪২৫ বঙ্গাব্দের শুভ নববর্ষ সামনে রেখেই ফুলের প্রতি গভীর ভালোবাসায় সি এইচ টি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমের উদ্যোগ "বিজুফুল"। প্রকাশনার কর্ণধারদের জন্যেই "বাবু নির্মল বড়ুয়া মিলন" সাহসিকতা পরিচয় দিয়েছেন। অনলাইনের সকল সহকর্মীদেরকে, অসংখ্য লেখক, ভালবাসার পাঠকদের পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সম্পাদক। প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধির 'বিজুফুল' বই গণমানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে বলে মনে করি।

লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।