সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৮৫ বছরের পুরুনো ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ওই বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভূমিতে নির্মিত ১০টি দোকান ১৪ বছর ধরে চলছে বিনা ভাড়ায়।

প্রশ্ন ওঠেছে ওই ভাড়াটিয়া দোকানদারদের খুটির জোড় কোথায়? তারা ১৪ বছর ধরে সরকারের মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কী ভাবে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করছেন? ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার পর দোকান মালিকদের সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বিপক্ষীয় কোন ভাড়া চুক্তি হয়নি।

তবে ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৫০/২০০ টাকা হারে ভাড়া ২০০৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদান করেন এবং ওই ভাড়ার টাকা ০৫ শিক্ষাখাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখায় জমা দেয়া হয়। এর পর থেকে আর কোন ভাড়া দেয়া হয় না। গণপুর্ত বিভাগ ভাড়ার টাকার চুক্তির জন্য বার বার নোটিশ দিলেও ভাড়াটিয়ারা কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছেন না।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জুলফিকার হোসেন জানান, ভাড়ার টাকা ১৪ বছর ধরে না দিয়েই চলছেন তারা। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ৩ নং দোকানের ভাড়াটিয়া কাগজে পত্রে লুৎফুর রহমান খান তবে তিনি এখন আর নেই। এখন ৩ নং দোকানে অবস্থান করছেন মাহাবুবর রহমান খান। তিনি দোকানের পেছনের দেয়াল ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের দেয়ালের সঙ্গে যুক্ত করে দোকান বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাকে বার বার বাধা নিষেধ করলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। এ ঘটনা সহ ১০টি দোকানের বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে গত ০৬ মে রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

এ ব্যাপারে মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে দোকানে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া অন্যান্য দোকানদাররা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শিরিন সুলতানার সঙ্গে সোমবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ থেকে আসলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

(এসবি/এসপি/মে ০৭, ২০১৮)