স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের এক নেতার রিট আবেদনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হলেও এর পেছনে বিএনপির ইন্ধন দেখছেন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের একটি হোটেলে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ দবি করেন নানক।

আগামী ১৫ মের ভোটকে সামনে রেখে গাজীপুরে যখন জমজমাট প্রচার চলছে, তখন ৬ মে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের আবেদনে ভোট তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।

সুরুজ জানান, তার ইউনিয়নরে ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হয় ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। সেই সময় থেকেই তিনি আইনি লড়াইয়ে আছেন। আর তিনি গাজীপুরে নয়, কেবল তার ইউনিয়নের ছয় মৌজায় ভোট স্থগিত চেয়েছিলেন।

৬ মে যার রিট আবেদনে গাজীপুরে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে সেই সুরুজ গত ১০ এপ্রিল আরও একটি রিট করেন। সে সময় তার আইনজীবী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তবে সেই আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।

আর সুরুজের পক্ষে মওদুদের আদালতে যাওয়াকেই এই নির্বাচন স্থগিতে বিএনপির ‘চক্রান্ত’ বলে দাবি করছেন নানক।

গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘এই নির্বাচন বন্ধের জন্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ গত ১০ এপ্রিল চেষ্টা করেছেন। একজন চেয়ারম্যনের পক্ষে তিনি শুনানি করে ব্যর্থ হয়েছেন।’

‘গাজীপুরে বিএনপির মেয়রের কাছে ওই এলাকার মানুষ সেবা পায় নাই বলে গাজীপুরের জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবির আভাস পেয়ে ভোটে জিততে সারা দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের জড়ো করছিল বিএনপি। নির্বাচন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্রে তারা আগে থেকেই ছিল।

এই নির্বাচন বন্ধে সরকারের কোন হাত নেই জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘আদালত রায় দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেছে।’

এদিকে রবিবার হাইকোর্টের আদেশের পর এই রিট আবেদনকে চক্রান্ত আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। আর আওয়ামী লীগ প্রধান তাকে আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এরই মধ্যে সোমবার উচ্চ আদালতে আপিলের আবেদন করেছেন বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। আবার জাহাঙ্গীরও উচ্চ আদালতে এসে আপিলের নথিপত্র তৈরি করেছেন।

তবে হাইকোর্টের আদেশের নথি না আসায় সোমবার শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিএনএফের সম্মেলনে দলের সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেন। সকাল ১১টায় উদ্বোধনী অধিবেশনের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়।

(ওএস/এসপি/মে ০৭, ২০১৮)