স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিলের (লিভ টু আপিল) ওপর শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুনানি শুরু হয়।

শুরুতে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। ১১টা পর্যন্ত শুনানির পর বিরতিতে যান আদালত।

সাধারণত বিরতির স্থায়ীত্ব আধাঘণ্টা হলেও আজ তা অন্যদিনের চেয়ে কিছুটা দীর্ঘ ছিল। ১১টা ৫০ মিনিটে ফের আদালত বসলে শুনানি শুনানিতে ফেরেন খুরশীদ।

দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে শুনানি শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি শুনানি করেন ১টা পর্যন্ত।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর কথা শুনে আদালত বলেন, আজ এ পর্যন্ত। আমরা কাল আবার শুনানি করব।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে ৪ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।

হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করেন।

এরপর ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৮ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেন।

আদালতে বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতা

আজকের শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতা। তারা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আব্দুল মঈন খান।

প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরপর মামলার নথি পেতে দেরি হওয়ায় ২০ ফেব্রুয়ারি ওইরায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। হাইকোর্ট বিষয়টি শুনানি নিয়ে নথি তলব করে আদেশ দেন। নিম্ন আদালত থেকে নথি আসার পরগত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী।

(ওএস/এসপি/মে ০৮, ২০১৮)