স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : হাফ টাইমের সময় জার্মানরা প্রতীজ্ঞা করে নেমেছিল, তারা আর ব্রাজিলকে লজ্জায় ডোবাবে না। এমনটাই জানিয়েছেন জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাট হামেলস।

ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে লাতিন ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিলকে ৭-১ গোলের এক সুনামিতে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পা রেখেছ ইউরোপের যান্ত্রিক পরাশক্তি জার্মানি।

খেলার প্রথমার্ধেই কোচ জোয়াকিম লো’র ছেলেরা বেলো হোরিজোন্তেতে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায়। খেলা শুরু হওয়ার দশ মিনিট পর থেকে পরবর্তী ১৮ মিনিট যেন নিষ্ঠুর জার্মান গোলা বর্ষিত হচ্ছিল ব্রাজিলের হৃদয়ে।

যদিও খেলার দ্বিতীয়ার্ধে আরো ২টি গোল ফিলিপ স্কলারির ছেলেদের জহম করতে হয়েছে, তবু হামেলস দাবি করেছেন, হাফ টাইমের সময়ই জার্মান বাহিনী প্রতিজ্ঞা করে, তারা আর ব্রাজিলকে লজ্জায় ডোবাবে না।

তিনি বলেন, হাফ টাইমের পর আমরা শুধুমাত্র সচেতন থাকতে চেয়েছি এবং চেষ্টা করেছি তাদেরকে আর লজ্জায় না ডোবাতে।

হামেলস বলেন, হাফ টাইমের সময় আমরা বলেছি, আমরা মনযোগী থাকবো। প্রতিপক্ষকে সম্মান করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা তা-ই করেছি। প্রতিপক্ষকে আরো লজ্জায় ডোবাতে কারিশমা দেখানোয় সম্মান নেই। আমরা ৯০ মিনিট জুড়েই খেলেছি, এটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

রিও ডি জেনিরোতে আগামী রোববার ফাইনালের আগেই হামেলস আশা করছেন, ইনজুরি থেকে সেরে উঠবেন এবং জার্মানি সেমিফাইনালের মতো একই পারদর্শীতা সেদিনও দেখাবে।

হামেলস বলেন, দ্বিতয়ি গোলটা হওয়ার পর ওরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। মাঠের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে বসে। এবং পঞ্চম গোল হওয়া পর্যন্ত এই সুযোগটাই আমরা ব্যবহার করেছি। এমন ঘটনা সবসময়ই ঘটে না। এমন ঘটনা বিরল এবং আপনাকে তা গ্রহণ করতেই হবে।

তিনি বলেন, রোববার কী কঠিন ম্যাচে আমরা নামতে যাচ্ছি, তা আমরা জানি। কে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি, তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা একটা কঠিন যুদ্ধ হতে যাচ্ছে এবং এই বিষয়টা প্রথম থেকে মাথায় রাখাই হচ্ছে এই ম্যাচ জয়ের মূল মন্ত্র।

ম্যাট হামেলস ভার্গের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা জানি আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি, তবু আমাদের সামন্য হলেও ভার্গের সহায়তা প্রয়োজন। সেমিফাইনালের দিনটি আমাদের জন্য একটি ভালো দিন ছিল। আমাদের তা উদযাপন করা উচিত, কিন্তু যদি ফাইনালে হেরে যাই, তাহলে সেমিফাইনাল জয়ের আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে।

ফাইনালের ভিন্ন চরিত্রের কথা তুলে ধরে ম্যাট হামেলস বলেন, সেমিফাইনালের সাথে ফাইনালের কোনো তূলনা করে লাভ নেই। এটা সম্পূর্ণই ভিন্ন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে, যেখানে বাস্তবতা ভিন্ন। এবং সেমিফাইনাল জয়ের আনন্দ ফাইনালে মাঠে পা ফেলতে আমাদের কিছুতেই প্রভাবিত করতে পারবে না। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাই খেলবো সেদিনও।

(ওএস/পি/জুলাই ১০,২০১৪)