রূপক মুখার্জি, নড়াইল : শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের সর্বত্র এখন আলোচনার মূখ্য বিষয়, রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরকারি, বে-সরকারি, স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত প্রাঙ্গন, ব্যবসা-বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার এবং গ্রামাঞ্চলের সড়ক বা রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ছোট ছোট দোকানঘর গুলোতে যে সব আলোচনা হচ্ছে, সেখানে ঘুরে ফিরে একটি প্রশ্ন স্থান পাচ্ছে-কি হবে? কি ঘটতে যাচ্ছে আগামীতে?

নানা মতের ও পথের এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিশ্রিত এসব আলোচনায় কান পাতলে যে কথা গুলো শোনা যাচ্ছে তা হচ্ছে, নির্বাচন হবে? নির্বাচন না হলে কি হবে? নির্বাচনে কি বিএনপি আসবে? বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে রাজনীতি ও নির্বাচনের সমীকরণ কেমন হবে? যদি নির্বাচন হয় তাহলে কি বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে?

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৭/৮ মাস বাকি থাকলেও এসব প্রশ্নের ফাঁকে ফাঁকে আরও কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবেশ-পরিসরের আলোচনায়। বিএনপি বিহীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে, সে নির্বাচন কি সর্ব মহলে গ্রহণ যোগ্যতা পাবে? ভোটে না এসে আন্দোলন করার মত ক্ষমতা বিএনপি সহ তাদের মিত্রদের রয়েছে? বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি নির্বাচনের আগে মুক্তি পাবেন? বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? সরকার কি সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে? ইত্যাদি প্রশ্ন আলোচনায় ঠাঁই পাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও অনুমানধর্মী এ রকম বহু প্রশ্ন আলোচনায় উঠে আসছে। এসব আলাপ-আলোচনা যুক্তি, তর্ক ও উত্তাপ ছড়ালেও প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারোরই।

উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়ানো এ সব আলাপ-আলোচনার সমাপ্তি ঘটছে ফলাফল ছাড়াই। শুধু কি তাই, দিনের শেষে আলোচনা যেখান থেকে শুরু আবার সেখানেই ফিরে যাচ্ছে। অর্থ্যাৎ, বহুমাত্রিক আলোচনা আর অগণিত প্রশ্নের উত্তর সহসাই মিলছে না। অমিমাংসিত থেকে যাচ্ছে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, ‘আসলে আমরা যা বলছি, তা সুনির্দিষ্ট কথাবার্তা নয়। আমরা যা বলছি তা অনেকটা মতাদর্শের সাথে মিল রেখে নতুবা অনুমান বা ধারণা থেকে বলছি’।

(আরএম/এসপি/মে ০৯, ২০১৮)