রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম এই আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালতের বিচারক আগামী ৯ মে আবেদনের শুনানির দিন জন্য ধার্য করেন।
পরে শুনানী শেষে বুধবার আদালতের বিচারক এমপি রানাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।

অপরদিকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যা চেষ্টার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলী আদালতে আমানুরকে গ্রেফতার দেখানোর অপর আবেদনটি করেন। পরে আদালতের বিচারক আগামী ১০ মে আবেদনের শুনানির জন্য ধার্য করেন।

জেলা গোয়ান্দো (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় এমপি রানাকে আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।

এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

(আরকেপি/এসপি/মে ০৯, ২০১৮)