স্টাফ রিপোর্টার : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটির সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সম্মেলন স্থলে আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলছে সম্মেলন স্থল ও আশপাশের এলাকা।

‘শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য’; ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’; ‘তুমি কে, আমি কে - বাঙালি বাঙাল ‘; ‘সফল হোক, সফল হোক, সম্মেলন সফল হো ‘; ‘কে বলেরে মুজিব নেই, মুজিব সারা বাংলায়’; ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছে তারা।

এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে সম্মেলন স্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে। নিরাপত্তার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্ধারিত প্রবেশ পথ দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে। এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য ৩২১ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। শীর্ষ দুটি পদে সর্বশেষ সম্মেলনে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলেও এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেকশনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে।

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ছাত্রলীগের সুপার ইউনিট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন হয়েছে। তবে এসব ইউনিটের এখন পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর এক সঙ্গে কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে এবারের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে সিলেকশনের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘদিনের অদৃশ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের প্রতি আনুগত্যশীল, কর্মীবান্ধব, সৎ, যোগ্যও মেধাবীদের হাতে ছাত্রলীগের পরবর্তী নেতৃত্ব তুলে দিতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে পদ প্রত্যাশীদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা হচ্ছে। আমলে নেয়া হবে গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানও।

(ওএস/এসপি/মে ১১, ২০১৮)