প্রভাষক এন এ মজুমদার 


দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দুটি সিটির নির্বাচনের দিকেই দেশের জনগণের চোখ । দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে নির্বাচন হওয়ায় দলীয় প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে চলে এলেও বাধা পড়েছে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে। আশুলিয়া থানার ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ মে রুলসহ একটি আদেশ দেন হাইকোর্ট। ফলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে বড় দুই দলের প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপীল করা হয়। আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আগামী ২৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

আদেশের পূর্বে দু’দলের পক্ষ থেকেই একদল অন্য দলকে দোষারুপ করে আসছিল। কিন্তু আপিল শুনানি শেষে রায়ের পর দু’দলই তাদের বিজয় হয়েছে বলে দাবী করেছে। আসলেই কি তাই ? অন্যদিকে সকল ভোটারের প্রত্যাশা তারা তাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়। কারন দলীয় ভোটাররা ভাবছে তাদের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চত। তাই এ কথা বলা ভুল হবে না যে অন্য কোন বাধা না থাকলে রায় অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হলে বিজয় হবে ভোটারের ও গণতন্ত্রের।

(এনএএম/এসপি/মে ১১, ২০১৮)