স্বাস্থ্য ডেস্ক : বিভিন্ন কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। তার মধ্যে বয়সজনিত কারণেও হাঁটু ব্যথা হয়ে থাকে। হাঁটুতে থাকে এক ধরনের তরল। বয়স হলে সেই তরল কমে যায়। সেই থেকেই ব্যথা অনুভব হওয়া শুরু। বয়স হলে মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় আবার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হাঁটু ব্যথা শুরু হয়ে থাকে।

বয়সজনিত কারণ ছাড়া চোট-আঘাত লেগেও ব্যথা হয় হাঁটুতে। চোট লাগলে অনেক সময় লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। বহু রোগী সেই রোগের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করান না। ফলে পরে হাঁটুর সমস্যায় ভুগতে হয় তাঁদের। এ ছাড়া স্পন্ডেলাইটিস থেকেও হাঁটু ব্যথা হতে পারে।

হাঁটু ব্যথায় মহিলারাই আক্রান্ত হন বেশি। এর একাধিক কারণ রয়েছে। মহিলাদের ৪৫ বছর বয়সের পর ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মেয়েদের হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। মেয়েদের মধ্যে যাঁরা বাড়িতে বসে কাজ করেন, তাঁদের তো বটেই, এমনকী যাঁরা মাঠে কাজ করেন, তাঁদেরও অনেক সময়ে হাঁটু মুড়ে কাজ করতে হয়। ফলে হাঁটুতে হাড়ের সংযোগস্থলে চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। দিনের পর দিন হাড়ের সংযোগস্থল অর্থাৎ হাঁটুতে চাপ পড়ায় তার ক্ষমতা কমে যায়। তার থেকেই মেয়েদের এখানে ব্যথার সৃষ্টি হয়।

হাঁটুর মতো গুরত্বপূর্ণ স্থানে ব্যথা অনুভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। ব্যথার ওষুধ বেশি খেলে আবার কিডনির সমস্যা হতে পারে। এমনকী, হতে পারে আলসারও। তবে সব থেকে ভালো দাওয়াই হলো ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটুর ব্যথা হলে পা লম্বা করে একবার শক্ত এবং একবার ঢিল দিতে হবে। এমন করলে হাঁটুর হাড়ের শক্তি বেড়ে যায়।

(ওএস/এসপি/মে ১২, ২০১৮)