নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১১) সদস্যরা।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি চাপাতি ও ১ টি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। রবিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাব ১১ এর সিনিয়র এএসপি মো. জসিমউদ্দিন চৌধুরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানাধীন মেঘনা ব্রিজ টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- সোনারগাঁ মুগড়াপাড়া এলাকায় সজিব (১৯), নীলকান্দা এলাকার সাকিব হোসেন ((১৯) ও রুপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার শুক্কুর আলী (১৯)।

গ্রেফতার আসামি সজীবের নামে চুরি ও ডাকাতির বেশ কয়েকটি মামলা চলমান। এছাড়া শুক্কুর গত মার্চ মাসে রূপগঞ্জের চাঞ্চল্যকর মনির হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত।

গত ১২ মে রাতে গ্রেফতাররা মহাসড়কের বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহনে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মুগড়াপাড়া আফিয়া ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার মুখে অস্ত্রশস্ত্রসহ সমবেত হয়েছিল।

র‌্যাব জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি, মুন্সিগঞ্জের মেঘনা ও নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে একযোগে ৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় মহাসড়কের এই সকল এলাকায় প্রায়শই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজটের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল বিভিন্ন সময় ডাকাতি করে। রাতের অন্ধকারে যানজটের কবলে পড়া প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বহনকারী গাড়িগুলো ডাকাতদের প্রধান টার্গেট থাকে।

সম্প্রতি মহাসড়কের এই এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতকারী ডাকাতরা ডাকাতি করতে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মারধর, ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাঙচুর করে।

এসব কারণে র‌্যাব নজরদারি বৃদ্ধি করে এসব স্থানে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং সবাই মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‌্যাব ১১ এর সিনিয়র এএসপি মো. জসিমউদ্দিন চৌধুরী।

(ওএস/এএস/মে ১৩, ২০১৮)