কেরাণীগঞ্জের বাচ্চু মিয়া হত্যায় তিনজনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বাচ্চু মিয়া (৬৫) হত্যা মামলায় ডাকাত শহীদ গ্রুপের তিন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম মোসা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মারুফ হোসেন, টিটু ও লিটন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আমজাদ হোসেন লিটন, সাব্বির, আব্দুল গণি, ওয়াসিম কসাই, সম্রাট, নান্টু ও নবাব।
আসামিদের মধ্যে টিটু, লিটন, সম্রাট ও নবাব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা পলাতক।
আসামিরা সবাই কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরায় বাস করলেও তারা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ২০০৬ সালের ১৮ জুন সকালে কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরায় বাচ্চু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পররবিবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কেরাণীগঞ্জ থানার এসআই সুলতান উদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিগণ এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও মাদক ব্যবসায় লিপ্ত ছিল। আসামিদের ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলতে সাহস পেত না। ভিকটিমের বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের এলাকায় ঢেউ টিনের দোকান ছিল। ডাকাত শহীদ ও তার দল সিরাজুল ইসলামের কাছে আসামিরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম উক্ত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ডাকাত শহীদের নির্দেশে তার সহযোগীরা সিরাজুল ইসলামকে ভয় দেখাতে তার দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকা তার ভাই বাচ্চু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার দায় স্বীকার করে আসামি টিটু ও লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। আর বাচ্চু মিয়া হত্যাকাণ্ডের আসামিদের মধ্যে ডাকাত শহীদ র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
(ওএস/এএস/মে ২০, ২০১৮)