জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর রেলওয়ে জংশনের ওয়েম্যান আজহার আলীর পেনশন নথি চুড়ান্ত নিস্পত্তি করনে সার্ভিস বইয়ে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির কলামে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আরবার হোসেনের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে। 

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসের উচ্চমান সহকারী নজরুল ইসলাম উৎকোচের বিনিময়ে জাল স্বাক্ষরটি করেন। জাল স্বাক্ষরের খবর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীর নজরে এলেও তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা না নিয়ে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ২ জুন এক’শ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর নেন। অঙ্গিকার নামায় উচ্চমান সহকারী নজরুল ইসলাম স্বাক্ষর জালের স্বিকারোক্তি দিয়ে পুনরায় জালিয়াতি না করার অঙ্গিকার করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ’কজন রেলওয়ে কর্মচারী বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষর জাল করার দু:সাহস দেখিয়ে টাকার জোড়ে পার পেয়ে বহাল তবিয়তে অফিস করছে। ভবিষৎয়ে এই জালিয়াতকারী রেলওয়ে বিভাগে বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটাতে পারে।

স্বাক্ষর জালে অভিযুক্ত উচ্চমান সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, যারা স্বাক্ষর জালের ঘটনায় আমাকে বাঁচিয়েছেন তাদের সাথে কথা বলেন। আমার বক্তব্য দিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পারমিশন লাগবে।

এ ঘটনার পর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আরবার রহমান অন্যত্র বদলি হয়ে যান। তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আমি জামালপুর অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। সবে মাত্র যোগদান করেছি, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(আরআর/এসপি/মে ২১, ২০১৮)