স্টাফ রিপোর্টার : ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সপ্তাহে সিন্ডিকেট সভায় ৩৮ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হবে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে পিএসসি’র চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, জুলাই মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আয়োজন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জুলাই মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পিএসসির জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৮ ও ৩৯ তম বিসিএস পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছি। ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের কাজ চলছে। ৪ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১০ হাজার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার কাজ করা করা হচ্ছে। এ কারণে ৩৮তম ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার সময় এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে।

সূত্র জানায়, চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন শেষ হয় গত ৩০ এপ্রিল। গত ১০ এপ্রিল এই বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রায় ৪০ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। ৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ সহকারী সার্জন আর ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেয়া হবে। সব মিলে প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নেয়া হবে এই বিসিএসে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে। এতে ২০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এছাড়া ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে। মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এছাড়া বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর করে এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে মোট ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে।

প্রতিটি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পিএসসি নির্ধারণ করবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৫০। লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকায় হবে। এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ১৬ হাজার ২৮৬ জন ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন। তারা এখন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। বিসিএসের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩৮তম বিসিএসে রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ প্রার্থী আবেদন করেন। এর আগে ৩৭তম বিসিএসে অংশ নেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ পরীক্ষার্থী।

সূত্র জানায়, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ থাকছে।

(ওএস/এসপি/মে ২২, ২০১৮)