রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল  : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, এলেঙ্গা, কালিহাতী, ঘাটাইল উপজেলায় প্রতি বছরই বিভিন্ন জেলা থেকে দিন মজুর শ্রমিকরা নির্দিষ্ট জায়গায় সমবেত হন। এ বছরও দিন মজুর শ্রমিকরা সমবেত হচ্ছে ওই হাটে। মানুষ যেমন হাট বাজার থেকে ধান, পাট, সরিষা, দরদাম করে কিনে তেমনি ধান
কাটার শ্রমিকদেরও ওইসব হাট থেকে দরদাম করে মিটিয়ে শ্রমিকদের বাড়িতে নিয়ে যায় ধান
কাটার কাজ করাতে।

জানা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত এসব শ্রমিকরা প্রতি বছর ওইসব বাজারে আসে তাদের কাজের সন্ধানে। ধান কাটার মৌসুমে তারা উপযুক্ত দাম পেলে গৃহস্থদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।

গৃহস্থরা চুক্তিভিত্তিক টাকা দিয়ে দরদাম করে কাজের জন্য এসব শ্রমিকদের তাদের বাড়িতে নিয়ে
যায়। তারপর ধারাবাহিকভাবে কৃষকদের ধান কাটার মৌসুমে কাজ করে টাকা উপার্জন করে এবং
ধান কাটা শেষ হলে শ্রমিকরা তাদের বাড়ি ফিরে যায়।

রহিম মিয়া জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার ধান কাটার শ্রমিকদের বেশি মুজুরি দিয়ে
মিটিয়ে নিতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

এ ব্যাপারে দিনাজপুরের আব্দুস সালাম, মোঃ রফিক মিয়া দিনমজুর শ্রমিক জানান, পরিবার
পরিজন ছেড়ে অনেক দুর থেকে কয়টা টাকার জন্য টাঙ্গাইলে এসেছি কিন্তু এবার শ্রমের মূল্য
কিছুটা হ্রাস পেয়েছে কিন্তু গৃহস্থরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে গত বছরের তুলনায় শ্রমের
মূল্য বেশি দিতে হচ্ছে।

এছাড়াও রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, লালমনির হাট থেকে আসা বিভিন্ন দিনমজুররা জানায় কাজ শেষে পারিশ্রমিক নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে পরিবারের সাথে একসঙ্গে ঈদ উপভোগ করবেন।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আ: রাজ্জাক বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলাব্যাপি ১৩ টি আধুনিক মেশিন দ্বারা ধান মাড়াই শুরু হয়েছে।

আগামীতে ধান মাড়াই এর মেশিনের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। এতে একদিকে যেমন কৃষকের শ্রমিকের খরচ হ্রাস পাবে অন্যদিকে তার উৎপাদন খরচও কমে যাবে।

এখন কৃষকদের দাবি, এই অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবহার ব্যাপক হারে পাওয়া গেলে আমরা ধান
চাষীরা লাভবান হব, এমনকি যথাসময়ে ধান ঘরে তুলতে পারব।

(আরকেপি/এসপি/মে ২৩, ২০১৮)