গলাচিপায় অস্থির কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের মূল্য বৃদ্ধি
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পবিত্র মাহে রমজান মাসের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যে উর্দ্ধগতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে রমজানের শুরুতেই হু হু করে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার দর।
উপজেলাসহ গ্রামের বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পিয়াজ, রসুন, বেগুন, সবজি, মাছ, মাংস, চিনি ও সোয়াবিন সহ প্রায় সকল পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বলছেন সরকারের বেধে দেয়া মূল্য তালিকার বাইরে গিয়ে চড়া দামে জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হলে ক্রেতারা ন্যায্য সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার গলাচিপা পৌরসভা সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের লাগাম ছাড়া বৃদ্ধিতে হতাশ ক্রেতারা। মূলত প্রতি বছর কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা পন্য মজুদ করে অধিক মুনাফার আশায় দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়ায়। এ সব অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারের বেধে দেওয়া মূল্যের কোন তোয়াক্কা করে না।
এবারও পবিত্র রমজানের শুরুতেই এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, সবজি, মাছ, মাংস ও চিড়া মুড়ির দাম বাড়িয়েছে। রসুন প্রতি কেজি ৫০থেকে ৭০ টাকা, পিয়াজ ৪২ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৪৫ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ৯০ টাকা, চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মুড়ি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বয়লার মুরগী ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা সহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে । সরকারের বেধে দেয়া ৪৪০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে এখন ৪৮০- ৫০০ টাকা দরে।
এ ছাড়া দাম বেড়েছে মাছের বাজারেও। আল-আমিন নামের এক ক্রেতা জানান, রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় আমরা সাধারন মানুষ বিপাকে আছি। শুরুতেই দ্রব্য মূল্যের বুদ্ধি হলে অবশিষ্ট রোজাগুলোতে তো এর চেয়ে আরো বৃদ্ধি পাবে তখন আমাদের (সাধারণ) মানুষের কি হবে।
এনজিও কর্মী আসাদ রহমান বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশী, আমরা যারা সীমিত বেতনে চাকরি করি তাদের মাস চালানো কষ্ট হবে।
সবজি ব্যবসায়ী সোনা মিয়া বলেন, উপজেলার বাহির থেকে সবজি আনতে হলে গাড়ী ভাড়া সহ অনেক খরচ হয় বিধায় সবজির দাম বৃদ্ধি।
গরুর মাংস ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, বাজারে গরুর যে চাহিদা সে অনুযায়ী গরু পাওয়া যাচ্ছে না ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌছিফ আহমেদ বলেন, শীঘ্রই উপজেলার বাজার গুলোতে মনিটরিং করা হবে।
(এসডি/এসপি/মে ২৫, ২০১৮)