ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শহরের বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত রোগীরা দলে দলে সদর সদর হাসপাতালে আসছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ড গুলোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। হাসপাতালের বারান্দা করিডোরসহ সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেনা তারা। হঠাৎ করে বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে চিকিৎসক নার্সরাও হাফিয়ে উঠেছেন। অতিরিক্ত ডাক্তার ও নার্স ডাকা হয়েছে। শুধুমাত্র ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ জন। এদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ, ৩২ জন নারী ও ১৩ জন শিশু রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ইফতারের পর থেকে একে একে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হতে থাকেন। বমি, পাতলা পায়খানা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশদের বাড়ি শহরের কাঞ্চন নগর, কিছু পবহাটি, হামদহ এলাকার ও কয়েকজনের বাড়ি শৈলকুপা চড়িয়ার বিল, গাড়াগঞ্জ ও পদমদি এলাকায়। বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৭৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।

কাঞ্চননগর নগরের বাসিন্দা রেহেনা বলেন, ‘হঠাৎ করেই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

ভর্তিকৃত অধিকাংশ রোগীরা বলছেন, সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর থেকে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীদের বাবা মা জানান, হঠাৎ করে তাদের শিশুরা বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। ৭/৮ বার হওয়ার পর তারা বিছানা থেকে উঠতে পারছেনা। তখন তড়িঘড়ি করে তারা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাঈম সিদ্দিকী জানান, বহিঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে প্রতিদিন অন্তত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়রিয়া বিভাগে ৮টি শয্যা থাকায় বাড়তি রোগীর স্থান হচ্ছে মেঝে, জরুরী ও বহিঃবিভাগের টিকিট কাউন্টারের মেঝেতে। প্রতিদিন নতুন করে ভর্তি হচ্ছেন প্রায় ৩০ জন করে রোগী।

তিনি আরও জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও রমজানে নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগ থেকে দূরে থাকতে পরিমিত পরিমাণ খাবার এবং খোলা বাজারের তৈলাক্ত খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

(জেটি/এসপি/মে ২৫, ২০১৮)