লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর  বিরুদ্ধে আবারও দুদক মামলা দায়ের করেছে। এবার তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৮ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত  সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

গত ১৭ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন । তার বিরুদ্ধে গত বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) ৫৪ লাখ ৪৬৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক লোহাগড়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন । তিনি উপজেলার নোয়াগ্রাম মৃত আশরাফ আলীর ছেলে । এদিকে, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।

জানা গেছে, সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু পৈত্রিক সূত্রে উপজেলার নোয়াগ্রামে একটি বাড়ী ও ৩.৫ একর সম্পত্তি পেয়েছেন । তিনি নড়াইল জেলার বিভিন্ন মৌজায় ৫.৯১ একর এবং ঢাকার সাভারে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করেন । নড়াইল শহরে স্ত্রীর নামে ১০ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে দুইতলা একটি আলিশান ভবন নির্মানসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেন।

এ ছাড়া, তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঋন গ্রহন করেন । ৮ লাখ ৪২ হাজার ২৯৫ টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন । দুদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর দাখিলকৃত তথ্য বিবরনী যাচাই- বাছাই করে অবৈধ উপায়ে অর্জিত ২ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৮১৮ টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনেন এবং একই সাথে এ সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ এনে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় ।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে তাকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য , গত বছরে লোহাগড়া উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দকৃত ৫৪ লাখ ৪৬৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক লোহাগড়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা করে । ওই মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা, উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনি এবং তিনজন ঠিকাদাকে আসামী করা হয়ছিল । মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন । ওই মামলা দুটির এখনও তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান লিটুর (০১৭৪৬২৭৮৩০৮,০১৯২৫৭৬৯৬৩১) মোবাইল ফোনে যোগাযোগ তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

(আরএম/এসপি/মে ২৬, ২০১৮)