গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে দোকান থেকে মাংস ক্রয় করে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় শামীম আহমেদ (২৮) নামক এক প্রতারক যুবক। শনিবার (২৬ মে) বেলা ১১ টার সময় ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরে মাছ মহালে প্রতারণাকালে ওই যুবককে আটক করা হয়। এসময় সে নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে প্রতারণার কথা স্বীকারও করেছে। পরে স্থানীয় জনতা ওই প্রতারক যুবককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

গৌরীপুর মাছ মহালের মাংস বিক্রেতা শালীহর গ্রামের গোলাম হোসেনের পুত্র মো. ফজলু মিয়া জানান, ঘটনার সময় উল্লেখিত যুবক তার দোকানে এসে মুঠোফোনে বলতে থাকে ‘স্যার, ৩ কেজি হবে, তাহলে ৫ কেজি লই।’ মুঠোফোনের অপরপ্রান্তের কথা শেষ করেই ৫ কেজি মাংস ক্রয় করেন তিনি। সে নিজেকে গৌরীপুর থানার এসআই পরিচয় দিয়ে বলে ‘মানিব্যাগে টাকা নেই, থানা থেকে এসে পরে টাকা দিবো।’ এই কথা বলে চলে যেতে চায়।

বাকীতে মাংস দিতে না চাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ী মো. ফজলু মিয়া সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশী দোকানী রজব আলী বলেন, ঠিক আছে, তাহলে থানায় ফোন দেই। এ কথা বলতেই ভুয়া এসআই পালানোর চেষ্টাকালে জনতা আটক করে।

গোলকপুর গ্রামের মাছ বিক্রেতা জব্বার হোসেনের পুত্র মরজত আলী জানান, তার নিকট থেকেও ৪ কেজি ওজনের একটি কার্পু মাছ নিয়ে গিয়েছিলো এই প্রতারক।

ভুয়া এসআই (দারোগা) পরিচয়দানকারীর নাম মো. শামীম আহমেদ। সে পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও গ্রামের মো. জহুর আলীর পুত্র। বর্তমানে নেত্রকোণা সদরের নাগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। এসআই পরিচয় দিয়ে মাংস ও মাছ কেনার ঘটনার দায় স্বীকার করে পুলিশ পরিচয় দেয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।

ভুয়া এসআই মো. শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করে গৌরীপুর থানার এএসআই আব্দুল আউয়াল থানায় নিয়ে যান। তিনি জানান, প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ দেলোয়ার আহম্মদ জানান, উক্ত ঘটনায় প্রয়োজনীয় তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসআইএম/এসপি/মে ২৬, ২০১৮)