ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় শরীফবাগ মধ্য পাড়া গ্রাম উন্নয়ন সমিতির কার্যক্রম ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার  কে এম আলী আজম রবিবার দুপুর বারটায় প্রকল্প পরিদর্শন উপলক্ষে শরীফবাগ মধ্য মাদ্রাসা মাঠে সমিতির উপকার ভোগীরদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধামরাইয়ে।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ধামরাইয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের এমত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম। স্বাগত ভাষন দেন ধামরাইয়ের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উপজেলা সমন্বয়কারী আনন্দ কুমার সরকার।

আরো বক্তব্য রাখেন ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের মহিলা চেয়ারম্যান এডঃ সোহানা জেসমিন মুক্তা,ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাহিদ হাসান, সাংবাদিক শামীম খান, ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ জাকারিয়া সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। সার্বিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চচালনা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাহিদ হাসান।

পরে প্রধান অতিথি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম ধামরাইয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত শব্জি ষ্টল দেখেন। সব শেষে ধামরাইয়ে সমাজ সেবা অফিসের পক্ষ থেকে অন্ধ দরিদ্র জনগোষ্টির মাঝে ১৩ টি ছাগল বিতরন করেন বলে জানান সমাজ সেবা স্ঠাফ রাশেদা আক্তার।

বিভাগীয় কমিনার কেএম আলী আজম বলেন মাদক এখন আমাদের সোসাইটর জন্য বিশ। মাদকের সাথে একবারেই জিরো টলান্সে। কোনো ছাড় নয়। মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তিনি সকল রাজনৈতিক দল সহ সকলের প্রতি এব্যাপারে সহযোগিতার আহ্বান জানান ।

মেয়েদের বাদ রেখে শিক্ষা ও কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।তিনি বলে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সকল সদস্যদের সন্তা লেখাপড়া শিখাতে হবে সুশিক্ষিত করতে হবে।শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে তারা যেন বিপথে না যায়।মাদকের কর্মকান্ডর সাথে জড়িতদের আইনের হাতে সোর্পদ করুন বলেন।

প্রতিটি মানুষকে সুশিক্ষা গ্রহণ করে তা কাজে লাগাতে হব। এক জন শিক্ষিত মানুষ এক জন এডমিনিষ্ট্রেটর হবে,ভাল পলিক্যাল লিডার হবে, ভালো ডাক্তার শিক্ষক হবে, যে যার ভেকরে অভ্যান্তরিন গুনাবলী পরিবর্তন ঘটবে এরকম শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।

আমাদের ছোট্ট দেশ ভুমির পরিমান অনেক কম । এখন ষোল কোটি মানুষ । যদি নিয়ন্ত্রিত ভাবেও থাকি তবুও ২০৪১ সালে আমাদের দেশে ২৫ কোটি জন সংখ্যা হবে তখন জমির পরিমান কিন্তু বাড়বে না। ২৫ কোটি মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা করতে হবে।উন্নত জীবন যাপন হলে মানুষের আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।উন্নতী হলে সবাই ভাল ভাবে বসবাসের চেষ্টা করবে।

(ডিসিপি/এসপি/মে ২৭, ২০১৮)