স্টাফ রিপোর্টার : জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রখর রোদে মৌসুমের তপ্ত দিন পার করলো রাজধানীবাসী। গনগনে সূর্যকিরণ যেন সারাদিনই মাথার উপর তাপ ঢেলেছে। তীব্র তাপদাহে পুরোদিন অস্বস্তিতে কেটেছে রোজাদারদের। মাঝ জ্যৈষ্ঠের এদিন ঢাকায় তাপমাত্রার রেকর্ড ছুঁয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (২৮ মে) ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আগের দিন রবিবার তাপমাত্রা ছিল ঢাকায় ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবারের তাপমাত্রাকে নিকট অতীতে সর্বোচ্চ জানিয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন বৃষ্টির পরে এ মৌসুমে মোটামুটি এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিনে সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ সরোয়ার আলম, যা মৃদৃ তাপপ্রবাহ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তপ্ত দুপুরে ঢাকার রাজপথে রোদের কারণে পথচারী এবং যানবাহনে চলাচলকারী মানুষের চোখে মুখে ছিল অস্বস্তির ছাপ। আর রোজাদারেরা কাহিল হয়ে পড়েছেন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ৩৪-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাপমাত্রা বাড়লে মৃদু তাপপ্রবাহ ও আরো বাড়লে হয় মাঝারি। ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদৃ এবং ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি তাপ প্রবাহ।

আগামী আরো ১-২ দিন ঢাকাসহ সারা দেশে এমন তাপমাত্রা থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান। তিনি বলেন, এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকবে।

অবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত ৪ মার্চ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০১৭ সালের ২৪ মে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; ওই দিন যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৬ সালে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রিতে উঠেছিল। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

(ওএস/এসপি/মে ২৮, ২০১৮)