স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : তার দিন কাটছে স্বপ্ন ভাঙার বেদনা বুকে নিয়ে। তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্নের ভুবন শেষ হয়ে গেছে সেদিন, যেদিন স্ট্রেচারে চিৎকার করতে করতে মাঠ ছেড়েছিলেন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে। এরপর টিভির পর্দায় দেখেছেন তার সহযোদ্ধাদের করুণ পরাজয়। এর নাম নিয়তি!

সেই নিয়তিকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে আসার পর কেঁদেছেন। পরাজয়ের জন্য নয়, স্বপ্ন ভাঙার জন্যও নয়। একটুর জন্য বেঁচে ফিরতে পেরে। প্যারালাইজড হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে।

জুয়ান জুনিগার ক্ষমা চাওয়া, স্কলারি সম্পর্কে তার এজেন্টের বিরূপ মন্তব্য করা এসব বিষয়ে নেইমার বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন।

জুনিগা ইতিমধ্যে নেইমারের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ইচ্ছা করে তিনি এমনটি করেননি। নেইমার জুনিগারের এই বক্তব্য মেনে নিলেও বলেছেন, ‘আমি তার কথা মেনে নিয়েছি। তবে এটাকে কোনোভাবেই একটা নরমাল ঘটনা বলতে পারি না।’

এরপর কাঁদতে কাঁদতে নেইমার বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে অবশেষ ধন্যবাদ। আমার প্যারালাইজড হওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমি বেঁচে ফিরতে পেরেছি।’

জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের হারের পর নেইমারের এজেন্ট ওয়েঙ্গার রিবিরিও স্কলারিকে ‘বীভৎস বুড়ো’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এছাড়া ব্যঙ্গ করে তিনি ‘ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ছয়টি যোগ্যতা’ তুলে ধরে টুইটারে পোস্ট করেছিলেন। এই ঘটনার পর নেইমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ ওয়েঙ্গারকে এড়িয়ে চলছেন।

(ওএস/পি/জুলাই ১১,২০১৪)