রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও সড়কের বেহাল দশায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা। বর্তমান বর্ষা মৌসুম আর চারলেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এ মহাসড়কে এবার ঈদ যাত্রায় চরম যানজট ও ভোগান্তির আশংকা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গসহ ২১ জেলার দুরপাল্লার যাত্রী আর চালকদের মাঝে। যদিও ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে স্থানীয় সরকারী প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।

গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারন মানুষের। দীর্ঘ ৭০ কি.মি. সড়কের চার লেনে উন্নীত করার কাজে আব্দুল মোনেম লিঃ, মীর আক্তার হোসেন লিঃ ও ডিএনকো সহ ৩টি কনস্ট্রাকশন কোম্পানী দ্রুত গতিতে প্রকল্প কাজ সম্মন্ন করার চেষ্টা করলেও ঈদের আগে পুরোপরি যান চলাচলের উপযোগী হবে না বলেই আশংকা করছে স্থানীয়রা।

এছাড়া এ বছর প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টির কারণে উন্নয়ন কাজ অনেকটা ব্যাহত হয়েছে। আর এ বৃষ্টির কারনে মহাসড়কের কদিমধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাস, ধেরুয়া, ঘারিন্দা বাইপাস, রসুলপুর, জালদহ ব্রিজ ও এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে চলছে মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরনের কাজ। আর এসব কারনেই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার ঈদে এ যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে বলে মনে করছেন উত্তরবঙ্গ ও অন্যান্য রুটের দুরপাল্লার যাত্রী ও চালকেরা। যদিও ঈদে চারলেন প্রকল্পের কারণে যানজটের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন উন্নয়ন কাজে কর্মরত সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

এ ব্যপারে চার লেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিকরুল হাসান বলেন, চারলেন প্রকল্পের প্রায় ৬৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে মোট ২৮টি সেতু প্রায় যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরতে পারে আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

যানজট নিরসনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, আসন্ন ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এবং ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌছতে পারে টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ যানজট মুক্ত পরিবেশে নিরাপদে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।


(আরকেপি/এসপি/মে ৩০, ২০১৮)