গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারপিট, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনার শিকার পরিবারটি গত ৭ দিন ধরে বাড়ী ছাড়া রয়েছে। অভিযুক্ত উত্যাক্তকারী রিপন বাহিনীর হুমকী-ধামকীতে বাড়ী ফেরার সাহস পাচ্ছেনা তারা। 

এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দায়ের করার পরও মামলা নথিভূক্ত না করায় পুলিশের ভূমিকার নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলারকার সচেতন মহলে।

এদিকে থানায় মামলা না হওয়ায় এবং কোন মহলই এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে না আসায় সন্ত্রাসীদের তান্ডব ও অপহরনের হুমকীতে আতংকিত ইভটিজিং এর শিকার ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা প্রান ভয়ে বাড়ীতে ফিরতে পারছেনা। তারা এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে আতংকে জীবন যাপন করছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউপি’র বোয়ালমারী কুড়িপাইকা গ্রামের আজিজার রহমানের থানায় দেয়া এজাহার সূত্রে জানাযায়, তার ছেলে বাঁধন মিয়ার কন্যা পারগয়ড়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রক্সনা (১৩) কে বিদ্যালয় ও প্রাইভেটে যাতায়াতের সময় পথিমধ্যে একই গ্রামের এজবর আলীর পুত্র রিপন মিয়া (২১) দীর্ঘ দিন থেকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করা সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রিপনের প্রেমের প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রক্সনা রাজি না হয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি রিপনের পরিবারকে জানায় এবং উত্ত্যক্ত না করার জন্য বলে আসে।

এতে রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ২৫ মে রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ওই ছাত্রীর বসত বাড়ীতে হামলা চালায়। তারা সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে বসত বাড়ীর দুটি কক্ষ এবং একটি স্টোর রুমে দরজা, জানালা, টিনের বেড়া ও ঘরের আসবাবপত্র চুটিয়ে, কুপিয়ে, কাটিয়া ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এসময় ওই ছাত্রী সহ তার পরিবারের লোকজন প্রাণের ভয়ে পালিয়ে অন্যত্র আত্বরক্ষা করে।

এই সুযোগে হামলাকারীরা কক্ষের ভিতর প্রবেশ করে শো-কেচের ড্রয়ার ভেঙ্গে জমি বিক্রির নগদ ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা এবং গৃহবধু রেশমীর আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ও এক জোরা হাতের বালা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা হুমকী দিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে যেখানে পাবে সেখান থেকেই অপহরণ করে নিয়ে যাবে এবং মামলা করলে খুন জখম করবে। ঘটনার পরদিন ওই ছাত্রীর দাদা আজিজার রহমান থানায় লিখিত এজাহার দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে । কিন্তু গত ৭দিনেও অজ্ঞাত কারনে এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি পুলিশ। সন্ত্রাসীদের মহরা অব্যাহত থাকায় ওই ছাত্রী সহ তার পরিবারের সদস্যরা প্রান ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। তারা বাড়ীতেও ফিরতে পারছেনা।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান পিপিএম জানান, অভিযোগ টি তদন্ত করার পাশাপাশি বিষয়টি মিমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।

(এসআরডি/এসপি/মে ৩০, ২০১৮)