কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কৃষকলীগের ইফতার মাহফিলে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করে গতকাল শুক্রবার বিকালে আওয়ামীলীগ ও কৃষকলীগ পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় কৃষকলীগের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গাওরার গ্রামের কাজী বাড়ি ঈদগা মাঠে কৃষকলীগের পূর্বনির্ধারিত ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। পরে একই স্থানে স্থানীয় ওয়াড আওয়ামীলীগ ইফতার মাহফিল আয়োজনের ঘোষনা দেয়। কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হলে প্রতিপক্ষ হামলা চালায় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মঞ্চ ভাংচুর করে বলে কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।

এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার সকালে কৃষকলীগ সন্মানিয়ায় মরিয়ম ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে। এতে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা আলম আহমদ সরকার বক্তব্য রাখেন। পরে বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এতে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। তিনি বলেন, কৃষকলীগ আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন। কৃষকলীগ আলাদা করে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার সুযোগ নেই। মূল সংগঠনের নীতি বাস্তবায়ন করাই সহযোগি সংগঠনের কাজ। অথচ কৃষকলীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ নিজেদের কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার হীনস্বার্থে ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি ও কুটকৌশল করে বেড়াচ্ছে।

তারা স্থানীয় এমপি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমিকে কাপাসিয়া থেকে বিতাড়িত করার হুমকী দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভংগ করছে এবং শান্তি প্রিয় ও সহাবস্থানের কাপাসিয়ায় অশান্তির বিষবাস্প ছড়াচ্ছে। আমরা এ অপরাজনীতির পরিত্রান চাই। এ অপরাজনীতির সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভংগের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা আলম আহমদ সরকার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘কাপাসিয়ায় শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা’র রাজনীতি চলবে না। এখানে চলবে শুধু তাজউদ্দীনের রাজনীতি-বন্ধনা’- এমন শ্লোগানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার কৃষকলীগের ইফতার মাহফিলে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে, প্যান্ডেল ও গাড়ি ভাংচুর করে।

(এসকেডি/এসপি/জুন ০২, ২০১৮)