স্টাফ রিপোর্টার : মাত্র ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই জলের নগরীতে রুপ নেয় রাজধানী। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসী ও যানবাহন চালকদের। দীর্ঘ সময় সড়কে পানি থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলেও ব্যাহত হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পানি জমে থাকায় বিভিন্ন জাগায় যানবাহনের পাশাপাশি চলছে নৌকা। কেন আধাঘণ্টার বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে খালে পৌছাতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এসব কারণ অনুসন্ধান করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সহ-সভাপতি অধ্যাপক আকতার মাহমুদ।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‌‘রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি উদ্যোগ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ জলাবদ্ধতার কারণ তুলে ধরেছেন।

অধ্যাপক আকতার মাহমুদ উস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ও ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান সময় মতো বাস্তবায়ন করতে না পারা, ভূ-উপরিস্থ ড্রেনসমূহ পরিস্কার না থাকায় পরবর্তী পর্যায়ের পানি ড্রেন/স্টর্ম ড্রেন/খাল পর্যন্ত পৌছাতে পারে না। এতে করেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ড্রেনেজ চ্যানেল ডি-লিংক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যেমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক দখলের কারণে ভূ-উপরিস্থ এবং স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন প্রায়ই কঠিন বর্জ্য দিয়ে বন্ধ হয়ে থাকে, ফলে বৃষ্টির পানি পরিবহনের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং জলযট দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকা ঘণ্টা পর ঘণ্টা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

আকতার মাহমুদ বলেন, শক্ত নগর পরিসর ও রান অব ওয়াটার ভূমি ব্যবহারের ধরণ পরিবর্তনের কারণে নগর শক্ত পরিসর দিয়ে ঢেকে গেছে, ওয়াটার রান-অব বেড়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানি তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় চলে আসে। খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, পুকুর, লেক, গাছ-গাছালি, নিম্নাঞ্চল হারিয়ে গেছে। নগরের খালের পরিমাণ কমে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া দখল হয়ে সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হওয়া পানি পরিবহনের ক্ষমতা কমে গেছে অথচ পানির রান-অব বেড়েছে।

(ওএস/এসপি/জুন ০২, ২০১৮)