মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুমুর রহমান বিশ্বাসকে অবিলম্বে অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নেতাকর্মীরা একখানা স্বারকলীপি পেশ করেন। 

রবিবার সকালে মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয় নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দিন সবুজ মৃধা, যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আবুল বাশার নাশির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল, সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ার জোমাদ্দার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বর্তমান মাদকের বিরুদ্ধে সক্রিয় কোন অভিযান পরিচালনা করছেন না। তিনি নামে মাত্র দুই একজনকে ধরছেন তাও আবার উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছেন। পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী ও মটরসাইকেল ড্রাইভার তাপসকে দুই বারও গ্রেফতার করে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ এবং উপজেলার চৈতা গ্রামের ছাব্বির মোল্লাকে মাদকসহ গ্রেফতার করে কাঁঠালতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে।

এছাড়াও আন্দুয়া গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মকবুল ভান্ডারী, দেউলী সুবিদখালী গ্রামের নয়ন খান, কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মাসুদসহ (ওরফে ডাক্তার মাসুদ ডিলার) ও মাসুদ মৃধাসহ চিহ্নিত মাদক সম্রাটদের গ্রেফতারে তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। নিরীহ দুই একজন ধরে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরূদ্ধে।

সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনায় মামলা ছাড়াই কাকড়াবুনিয়া গ্রামের শ্যামল ও ভিকাখালী গ্রামের চাঁনমিয়াকে থানায় নিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নেতারা। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সক্রিয় অভিযান পরিচালনা করছি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীসহ ইয়াবা উদ্ধার এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্যে আইনে মামলা করা হয়েছে। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তবে গত ২৮ তারিখের এজাহারভূক্ত আসামী মাধবখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ বাচ্চুকে গ্রেফতার করায় স্থানীয় কতিপয় লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন,মির্জাগঞ্জ থানার ওসি’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা আমার কাছে একখানা স্বারকলিপি দিয়েছেন। আমি স্বারকলিপিটি পটুয়াখালী ডিসি স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

(ইউজি/এসপি/জুন ০৩, ২০১৮)