বারেক কায়সার, মস্কো ( রাশিয়া) : রুশ সাহিত্যের জনক আলেকজেন্ডার পুশকিনের ২১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যৌথভাবে বাংলাদেশস্থ রুশ ফেডারেশন দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগ ও বাংলা প্রেসক্লাব রাশিয়া।

রবিবার রুশ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের এই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্স অংশগ্রহণ করে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দিবসটিকে রুশ ভাষা দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পুশকিনকে অভিহিত করা হয় আধুনিক রুশ সাহিত্যের জনক হিসেবে। তাকে বলা হয় ‘রুশ কবিতার সূর্য’। মাত্র ৩৮ বছরের জীবনকালে তিনি খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেন। ভাষার ওপর এই লেখকের আশ্চর্য দখল ও দক্ষতা ছিল। অগ্রজ সাহিত্যিকদের প্রতিষ্ঠিত ভাষারীতির অনুসরণ না করে স্বকীয় ভাষারীতির নির্মাণ করেন তিনি। যার বৈশিষ্ট্য গতিময়তা ও আধুনিকতা। ফলে ভাষা প্রাঞ্জলতা ও গভীরতা লাভ করে। তিনি কবি হলেও উপন্যাস রচনায় হাত দিয়েও তিনি সার্থক। তার রচিত উপন্যাস ‘ইয়েভেজোন ওনেজিন’- রুশ কথা সাহিত্যের মাইলস্টোন হিসেবে খ্যাত।

রুশ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক আলেকজান্ডার পেত্রোভিচ দিওমিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন পরিচালকের সহধর্মীনি নাতালিয়া দিওমিনা, রুশ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল প্রোগ্রাম সেকশনের হেড প্রশান্ত কুমার বর্মন, এডুকেশন সেকশনের ইনচার্জ সৈয়দ বজলুল হাসান রাজীব, রাশিয়ান ভাষা কোর্সের শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলা প্রেসক্লাব রাশিয়ার সভাপতি বারেক কায়সার। কবিতা আবৃত্তি করেন- ফয়সাল আলম, মাজহারুল ইসলাম সানি ও সৈয়দ মেহেদী হাসান। উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দীন, আশ্রাফ উদ্দিন, খন্দকার শাহ্ শাহরিয়ার, সৌমিত্র বসাক নিলয়, জান্নাতুল তাজরীন স্নিগ্ধা, রেজাউল করিম শান্ত, মো. মতিউর রহমান, তাবাসসুম কিশওয়ার রাফা, ফারিয়া ইসলাম ও মো. জাহিদ হাসান।

(বিকে/এসপি/জুন ০৫, ২০১৮)