স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যে সংসদ নির্বাচিত নয়। যে সংসদের অধিকাংশ সদস্য জনগণের ধারের কাছে যান না। জনগণও তাদেরকে চেনে না। সে সংসদের বাজেটে কি থাকবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, দেশে কি কোনো বিচার ব্যবস্থা বা আইনের শাসন আছে? দেশে যে আইনের শাসন নেই তার অন্যতম প্রমাণ হলো প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। দেশে প্রতিদিন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে। অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে এখনও আমরা শুনতে পাচ্ছি এক স্বামী আর স্ত্রীর আকুতি। পুলিশ বলছে মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারির সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে অমুক অমুক নিহত হয়েছে। কিন্তু তাদের স্বজনরা প্রমাণ দিয়ে বলছেন পুলিশ তিনদিন আগে ধরে নিয়ে গেছে এবং তাদের কাছ থেকে চাওয়া মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করেছে।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, কেবল মাত্র কথার রাজনীতি চালু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনকল্যাণের রাজনীতি তাদের নেই। ভ্যাট নিয়ে কী কথা বলবেন অর্থমন্ত্রী। ভ্যাট ব্যবস্থার তো ১৪টা বাজিয়েছেন ইতোমধ্যে। দুর্নীতি হলো আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। দেশে সাধারণ মানুষ যে সৎভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে তার পরিবেশ নেই। চাকরির ক্ষেত্রে তারা বলেই রেখেছেন যে কেবল মাত্র আওয়ামী লীগ করলেই চাকরি পাবে। তাহলে সাধারণ নাগরিক যারা রাজনীতি করে না, তারা কিভাবে চাকরি পাবে?

খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা করতে চাই, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট কোনো নির্বাচনে যাবে না। স্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।

হাফিজ বলেন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে নেমেছি, রাজপথে আরও শক্তভাবে নামবো। গাজীপুরের সিটি নির্বাচন পর্যন্ত আমরা দেখব। তারপর ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনগুলোতে কি করণীয় হবে।

‘বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। ২০ দলীয় জোটের পক্ষে শতকরা ৮০ জন লোকে সমর্থন রয়েছে।’

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারমনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, তৈমুর আলম খন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মিরপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলু প্রমুখ বক্তৃতা দেন।

(ওএস/এসপি/জুন ০৫, ২০১৮)