উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ অনুসারে টার্মিনেশন অথবা পদত্যাগজনিত চাকরিকালীন পাওনা এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের চাকরিচ্যুত ও চাকরি ছেড়ে আসা সাংবাদিকরা আগামী ৭ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দফায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

পাওনা বঞ্চিত সাংবাদিকরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন কাজ করার পরে আমাদের কাউকে কাউকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে চাকরি থেকে বরখাস্ত (টার্মিনেট) করা হয় অথবা কাউকে কাউকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। কিন্তু আমরা ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত সাংবাদিক/সংবাদ সংস্থার শ্রমিক-কর্মচারী হওয়া সত্তেও কেউই আমাদের টার্মিনেশন অথবা পদত্যাগজনিত চাকরিকালীন পাওনা এবং বকেয়া বেতন-ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।’

তারা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই পাওনাদি চেয়ে চাকরিচ্যুতি/পদত্যাগের দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান ও ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর মাননীয় এডিটর ইন চিফকে আলাদা আলাদাভাবে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তারা আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি, আমাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেননি এবং এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসে কোনো সুরাহা করেননি। পরে বাধ্য হয়ে আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক ও মাতৃসম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দিয়েছি।

একই আবেদন সম্বলিত চিঠি ও অনুলিপি দিয়েছি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী, মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও মাননীয় তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাননীয় চেয়ারম্যান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সভাপতি ও সম্পাদক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) উভয় অংশের সম্মানিত সভাপতি ও মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উভয় অংশের সম্মানিত সভাপতি ও সম্পাদক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় উপদেষ্টাকেও (প্রেস ও মিডিয়া)।’

‘কিন্তু এতদসত্তেও ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত হয়ে আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হই। এর অংশ হিসেবে গত ১০ মে, ২০১৮ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম। কিন্তু মানববন্ধনের আগ মুহূর্তে বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের দাবি মেনে নেওয়া ও পাওনা পরিশোধের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করে গ্রুপের মনোনীত প্রতিনিধি বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় উপদেষ্টার (প্রেস ও মিডিয়া) সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় বসি। গত ১০ মে’র প্রথম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ১৩ মে দ্বিতীয় সভায় আমরা আমাদের সমূদয় পাওনার বিবরণ এবং পাওনার সপক্ষে প্রয়োজনীয় সকল কাগজ ও প্রমাণপত্র হস্তান্তর করেছিলাম।

আলোচনায় ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কর্মকর্তারা আমাদের পাওনাদির বিষয়ে তাদের হিসাব-নিকাশ সম্পূর্ণ করার পরে উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে দ্রুতই পাওনাদি পরিশোধ করা হবে। কিন্তু স্বয়ং গ্রুপ প্রতিনিধির ভাষ্যমতে- সমস্ত প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে আসার পর তিনি আমাদেরকে গত ৩০ মে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আমাদের কাউকে কোনো পাওনাদিই দিতে পারবেন না বা দেবেন না। এ অবস্থায় আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবিতে স্থগিত করা আন্দোলন ফের শুরু করতে বাধ্য হয়েছি।’

এরই অংশ হিসেবে গত ০৩ জুন, ২০১৮ রবিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতারাসহ আমরা আগামী ১০ জুন, ২০১৮ রবিবারের মধ্যে আমাদের সমুদয় পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছি।

(বিজ্ঞপ্তি/এসপি/জুন ০৫, ২০১৮)